সরিষার হলুদ ফুলের চাঁদরে ঢেকে গেছে কমলগঞ্জের মণিপুরী পল্লীর ঘোড়ামারা গ্রাম। এ গ্রামের অধিকাংশ ক্ষেত জুড়ে এ বছর প্রথম আবাদ করা হয়েছে সরিষার। আবাদকৃত সরিষা ক্ষেতে ফুটেছে সরিষার হলুদ ফুল। কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়কের পশ্চিম তীরেই ওই গ্রামটি।
এ সড়কে চলাচলকারী সবার নজর কেড়ে নেয় সারি সারি সরিষা ক্ষেতের হলুদ গালিচার ফুলগুলো। চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর এ সরিষা আবাদ করেছে। চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল,তেল ও পিয়াজ বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর কৃষক পর্যায়ে বারি-৯ জাতের সরিষা চাষ করেছে। একই ভাবে ওই গ্রামের অন্যান্য কৃষকরা আবাধ করেছেন সরিষা। ওই এলাকায় আবাদকৃত সরিষায় ফুল আসায় হলুদে হলুদে চেয়ে গেছে মণিপুরী পলীর ঘোড়ামারা পুরো গ্রাম। কৃষকদের আবাদকৃত সরিষা ক্ষেতগুলো নিয়মিত তদারকি করছে স্থানীয় কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর। আলাপকালে কৃষক রসমোহন সিংহ জানান,অন্যান্য ফসলের চেয়ে সরিষা আবাদে খরচ কম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ না হলে ফলনও হয় ভাল।
তার ক্ষেতে যে ফলন হয়েছে তা থেকে খরচ তুলার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। কৃষি সমপ্রসারন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন,আমনের পর বোরো মওসুমের পূর্ব সময়ে,যে সময় টুকু পাওয়া যায় কৃষকরা ইচ্ছা করলেই সে সময়ে সরিষা আবাদ করতে পারেন। এ ফসল আবাদে লাভও রয়েছে। ৭০-৭৫ দিনে মধ্যে এ ফসল ঘরে তুলা সম্ভব।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সোহেল রানা/কমলগঞ্জ