সোহেল রানা,কমলগঞ্জ থেকে

কমলগঞ্জের ধলাই সেতুর পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক গর্তের। সেতুটি উদ্বোধনের ৬ বছরের মাথায় সেতুটির পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতুটি সংস্কারে সম্পূর্ণ উদাসীন।

শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর- ব্রাক্ষ্‌্রণবাজার সড়কের কমলগঞ্জের ধলাই সেতুটির ১৯৯৮ সালের ১লা ডিসেম্বর ভিত্তি প্রস’র করেন তৎকালিন যোগাযোগ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর উপস্থিতিতে তৎকালিন হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি। ঢাকার রূপায়ন নামক একটি কোম্পানী ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ধলাই সেতুর নির্মাণ কাজ পায়। রাজনৈতিক কারণে পরে কাজটি সাব কণ্ট্রাক হিসাবে হাতিয়ে নেন আওয়ামী ঘরণার সিলেটের জনৈক ঠিকাদার। সেতু নির্মাণের কাজের শুরুতেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। নির্মাণ কাজের সিডিউলেল নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সাব ঠিকাদার রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে কাজ করায় কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

এ বিষয়ে তখন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলেও টনক নড়েনি সংশ্ল্লিষ্ট দপ্তরের। নানা অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে তারাহুরো করে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হলে ২০০৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালিন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান ধলাই সেতুটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের ৬ বছরের মাথায় গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই সেতুটির পূর্ব অংশের পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হলে রাতের আধারে পাথর গালা দিয়ে তা সংস্কার করে স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

বর্তমানে সেই সংস্কারকৃত গর্ত গুলোর পিচ উঠে যাওয়ার পাশাপাশি পাশে আরো ৪-৫টি স্থানে পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় নতুন গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় সেতুগুলোর স্থায়ীত্ব ৬৫-৭০ বছর হলেও কমলগঞ্জের ধলাই সেতুটি উদ্বোধনের ৬ বছরের মাথায় একাধিক স্থানে গর্ত সৃষ্টি ও পিচ উঠে গেলেও মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here