কক্সবাজার :: কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় সাহিত্য প্রতিযোগিতা জেলার উখিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেপটখালী-মাদারবনিয়াস্থ সি এম উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি লোকগবেষক মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠাতা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোক্তার আহমদ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোক্তার আহমদ বলেন, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী জেলার শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশে যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা এককথায় অনন্য। ভবিষ্যতেও বিদ্যালয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতির কর্মসূচি বাস্তাবয়নের জন্য একাডেমী কর্তৃপক্ষকে অনোরুধ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পড়ায় লেখায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ অন্যতম। তৎমধ্যে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা দুই যুগ আগে ছিলো অন্ধকার যুগ। সেই অন্ধকার ভেঙ্গে এখন আলোর ঝলকানিতে আমরা আশান্বিত। এতে করে এই প্রজন্মের শিশু-কিশোরেরা শিক্ষার আলো পাচ্ছে। শিক্ষার আলোর পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিনে বিশ্বকবি হন নি। ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ এই চারটি শব্দ দিয়েই বিশ্বকবির কবিতা লিখা শুরু।
একাডেমীর সহ-সভাপতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণ কমিটির আহবায়ক ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন।
একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অন্যদের বক্তব্য পেশ করেন সিএম উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মৌলভী আবুল কাসেম, একাডেমীর নির্বাহী সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী আবুল কালাম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হাসান আহমদ সোবহানী, একাডেমীর নির্বাণ পাল।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মুসা, শাহেদা বেগম, সূর্য লতা তঞ্চঙ্গা, আনোয়ারা বেগম, সাজেদা বেগম, খাদিজাতুল কোবরা ও এস্তাফিজুর রহমান।
এই কর্মসূচির মধ্যে সি এম উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ‘খ’ গ্রুপ ও ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ‘গ’ গ্রুপভুক্ত করে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হবে। একই সাথে গ্রুপ ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা স্বরচিত কবিতা-ছড়া ও গল্প-প্রবন্ধে অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন একাডেমীর সহ-সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক হাসান আহমদ সোবহানী ও নির্বাণ পাল।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি