কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মিয়ানমারের ১৯ নাগরিককে মুক্তি দিয়ে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শনিবার এসব নাগরিকের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উভয় দেশের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে এদের ফেরত পাঠানো হয়।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার মুজিবুর রহমান জানান, বিভিন্ন সময় নানা অপরাধে আটক হওয়া এসব মুক্তিপ্রাপ্ত মিয়ানমার নাগরিকরা ৫ থেকে ১৫ বছর করে কারাগারে ছিলো। উভয় দেশের দুতাবাস পর্যায়ে নানা প্রক্রিয়া শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর শনিবার ১৯ জনকে কক্সবাজার কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে টেকনাফে প্রেরণ করা হয়। টেকনাফস্থ ৪২ বিজিবি এসব মিয়ানমার নাগরিককে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে স্বদেশে ফেরত পাঠায়।
মুক্তিপ্রাপ্ত মিয়ানমার নাগরিকরা হলেন, আকিয়াব জেলার মিউসাইং, উধেয়াদাজা মারমা, থোয়াইলং খুমি, খেংচোরা খুমি, নাহাই খুমি, অংথুই উ, খায়রুল আমিন, সাদুশী মার্মা, ফুথোই মারমা, ওমর ছিদ্দিক, চিংজ মারমা, সাব্বির আহমদ, সৈয়দ ইউনুছ, ছাব্বির আহমদ, হাবিব উল্লাহ, মোহাম্মদ হামিদ, চৌথায়াই মারমা, জজ থোয়াই রাখাইন, মাইচুবা।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার মুজিবুর রহমান জানান, কক্সবাজার জেলা কারাগারে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া আরো ৩৯ জন মিয়ানমার নাগরিক রয়েছে। এদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য জেলা কারাগার কতৃর্ঞ্চপক্ষ প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে এদের তালিকা সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মিয়ানমারের দুতাবাসে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের যাচাই বাছাই চলছে। তিনি আশা করছেন শীঘ্রই এদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে। এছাড়া জেলা কারাগারে আরো ২৭৭ জন মিয়ানমার নাগরিক বিচারাধিন অবস্থায় আটক রয়েছে।
উলেস্নখ্য, ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল মাসে ৬৫ জন, ২০১০ সালের ৪ মার্চ মাসে ৪৮ জন মিয়ানমার নাগরিককে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে, শনিবার কক্সবাজার জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মনজুর হোসেন। তিনি জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি কারাগারে তিনদিন ব্যাপী এইচআইভি/ এইডস ও জেন্ডার বিষয় প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগের ডিআইজি প্রিজন ফজলুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারী যতীন চক্রবর্র্তী, জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন, জেলার মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কালাম আজাদ/কক্সবাজার