ডেস্ক নিউজ:: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কওমি মাদরাসাসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার (২৯ মার্চ) সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে একটি বিশেষ অনুরোধে কওমি মাদরাসাগুলো চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকগুণ বেড়ে গেছে। অনেকে মারা যাচ্ছেন। এ জন্য সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কওমি মাদরাসাগুলো এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি নির্দেশনা হচ্ছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থাৎ প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়া কওমিয়া বাংলাদেশের সদস্য মুফতি নুরুল আমিন বলেন, আমরা এখনো কোনো নির্দেশনা হাতে পাইনি। নির্দেশনা পেলে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের পরে ২৩ মে থেকে শুরু হবে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সম্প্রতি চলমান করোনা মহামারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তবে কওমি মাদরাসার সকল কার্যক্রম সচল রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here