ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক ::
ওয়াশিংটন ডিসি’র বাংলাদেশ দূতাবাসে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় সময় শনিবার ৫ (আগষ্ট) সকালে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক জাতির পিতার আবক্ষ মুর্তি এবং শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মোঃ রাশেদুজ্জামান।
এরপর শহিদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান শহিদ শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের অন্যান্য শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং স্বাধীনতার পর ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে শহিদ শেখ কামালের মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ শেখ কামাল ছিলেন দেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ এবং যুব সমাজের জন্য আদর্শ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান আশা প্রকাশ করেন শহিদ শেখ কামালের আদর্শ অনুসরণ করে দেশের তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে।
মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, দেশের শীর্ষ স্থানীয় ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহিদ শেখ কামাল এদেশের জনগন, বিশেষ করে ক্রীড়ামোদীদের, হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে শহিদ শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ অন্যান্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন হেড অব চ্যান্সারি ও কাউন্সেলর মোঃ মনিরুজ্জামান।