কালের বিবরতনে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতশিল্প। চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বাঁশ ও বেতসহ এসব সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকেই তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

কিছুদিন আগেও বাঁশ ও বেতের তৈরি কুলা, ঝুড়ি, ডোল, চাটাই, হাঁস-মুরগির খাঁচা, মাছ ধরার পলো, বেতের তৈরি চেয়ার, বইয়ের র‌্যাক, দোলনা, মোড়া ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্য প্রচুর তৈরী হতো এ অঞ্চলে।

কিন্তু এসব পণ্য তৈরীতে ব্যাবহ্নিত বিভিন্ন সামগ্রির দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেকেই এখন এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।

চাটমোহর রেলবাজার এলাকার আব্দুল হামিদ (৪০) নামের এক বিক্রেতা বলেন,‘আমরা নিজেরাই বাঁশ কিনে এগুলো তৈরি করি। আগে এসব সামগ্রীর বেশ চাহিদা। কিন্তু আজকাল আগের মতো বাঁশ ও বেতের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা নেই।

অপর বিক্রেতা মানিক হোসেন বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষের নিত্য ব্যবহায্য এসব পণ্যের কদর এক সময় শহরেও অনেক বেশি ছিল। কিন্তু পস্নাষ্টিক সামগ্রীর কাছে টিকে থাকতে পারছে না বাঁশ ও বেতের তৈরী সামগ্রী। এছাড়াও বাঁশ ও বেতসহ এসব সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত সব পণ্যের দাম আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য ও আসবাবপত্র তৈরির খরচও বেড়ে গেছে। ফলে এসব পণ্য চড়া দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। অপর দিকে পস্নাষ্টিকের তৈরী সামগ্রীর দাম কম হওয়ায় বাঁশ ও বেতের তৈরী সামগ্রীর চাহিদা একে বাড়েই কমে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে বেঁছে নিয়েছে অন্য পেশা।

সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কলিট তালুকদার/পাবনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here