প্রায় আড়াই মাস পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম হত্যার মোটিভ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে মিরাজুলের ব্যবহৃত সরকারী রিভলবার ও ব্যক্তিগত মোবাইল সেট। পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ মহিলাসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসআই মিরাজুল হত্যার অগ্রগতি সম্পর্কে ব্রিফিং দেন। এ সময় ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম মোল্লা ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার একতারপুর ভূমিহীনপাড়ার আন্দার আলীর ছেলে মুক্তার হোসেন ওরফে ভাদু, রাজবাড়ি জেলার নিমতলা গ্রামের রহমত শেখের ছেলে লিয়াকত আলী লিয়া ও তার ভাই আমজাদ শেখ, ফরিদপুর জেলার ভাটি লক্ষিপুর গ্রামের আলম শেখ ওরফে আলো এবং তার স্ত্রী পদ্মা বেগম, গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিন দৌলতদিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী সরদারের ছেলে আক্কাচ আলী ওরফে বুড়ো আক্কাস এবং রাজবাড়ি জেলার হাটজয়রামপুর গ্রামের হাসমত মোল্লার ছেলে আব্দুর রহিম।
সাংবাদিক সম্মেলনে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, আন্তজেলা ডাকাতদলের প্রধান ফরিদপুর শহরের দুলাল খার ছেলে নুরু খা ও তার সহযোগী সাহেব আলী, রানা ও সোহাগ এখনো পলাতক রয়েছে। সাহেব আলী প্রথমে এসআই মিরাজুলকে পেছন থেকে আঘাত দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় বলে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৩ আগষ্ট রাতে ঝিনাইদহ শহর থেকে নিজ কর্মস্থল ডাকবাংলা পুলিশ ক্যম্পে ফেরার পথে এসআই মিরনাজুলকে হত্যা করা হয়। পর দিন ২৪ আগষ্ট সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি তদন্তের জন্য সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম মোল্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। হত্যাকান্ডের ৩৪ দিনের মাথায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কনেজপুর গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে বাবলুসহ তার কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেফতার করে মিরাজুল হত্যার সাফল্য দাবী করেছিল পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম মোল্লা জানান, আগে গ্রেফতার হওয়া আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তারাও নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত না হলে ছাড়া পাবেন বলে তিনি জানান।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ