মহানমুক্তিযুদ্ধের সহ-সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল (অব.) এম এ রব (বীরউত্তম)-এর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সোমবার জেলায় পালিত হচ্ছে দিবসটি। সকাল ৯টায় হবিগঞ্জ শহরের উমেদগর এলাকায় এম এ রবের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, কমান্ড ও জেনারেল এম এ রব গবেষণা পরিষদ।
এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান, জাসদ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদ।
বক্তারা এম এ রবের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের দাবি জানান।
উলেস্নখ্য মেজর জেনারেল (অব.) এম এ রব ১৯১৯ সালের ৬ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৫ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করে সিলেটের এমসি কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে বিএসসি পাস করে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল শাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৩ সনে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন।
এম এ রব ১৯৪৪ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা রণাঙ্গনে আরাকান সীমানেত্ম সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭০ সালে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসরে যান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নবীগঞ্জ-আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং আসন থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন।
১৯৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্ততি নেন। আগরতলায় সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি মুক্তযুদ্ধকালীন সময়ে চিফ অব স্টাফ হয়ে পূর্বাঞ্চলের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে এম এ রবকে পূর্ণ জেনারেল পদে উত্তীর্ণ করেন।
এম এ রব একই সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসানের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট’ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন । ১৯৭৩ সালে ফের আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালের ১৪ নভেম্বর রক্তশূনতাজনিত রোগে মারা যান মেজর জেনারেল (অব.) এম এ রব।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এমএআর শায়েল/হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here