পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার সকালে সাভারের আশুলিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ওয়াদা করেছিলাম, এ দেশে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা হবে না। এমপি লিটন হত্যাকারীরাও পার পাবে না। আমরা কথা রেখেছি। কারা পরিকল্পনায় ছিল, হত্যাকাণ্ডে কে কোন ভূমিকায় ছিল—আমরা আদ্যোপান্ত সব বের করেছি। জড়িতরা নজরদারিতে আছে। যেকোনো মুহূর্তে আটক করা হবে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বলেন, যথাযোগ্য প্রমাণ ছাড়া সাবেক হলেও একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা সমীচীন হবে না। তবে প্রমাণ পেলে এ ঘটনায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পরে শিল্প পুলিশের বহুতল ব্যারাক ও অস্ত্রাগার ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন আইজিপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজি) আবদুস সালাম, শিল্প পুলিশ-১-এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে এমপি লিটনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়।