সরকারের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ইটভাটায় কয়লার পরিবতে পরিবেশ দূষণ রাবার ও টায়ার নির্বিচারে পাড়ানো হচ্ছে। স’ানীয় প্রশাসান দেখেও না দেখার ভ্যান করছেন। এই ভাবে চলতে থাকলে পলাশবাড়ীর পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হবে। এতে করে স’ানীয় সচেতন  মহল উদবিঘ্ন হয়েছেন।

পলাশবাড়ীর শহর ও প্রত্যন- পল্লীতে গড়ে উঠেছে ৫০ টির উর্দ্ধে ড্রাম চিমনির ভাটা । রাবার ও টায়ারের গন্ধে ইট ভাটার পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ীর মানুষ দুর্বিষহ ভোগানি-তে পড়েছে। পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা রোডে প্রায় ১৫টি ভাটায় একই অবস’া বিরাজ করছে। রাবার ও টায়ারের আগুন দীর্ঘ সময় জ্বলার কারণে এগুলো পড়ানো হচ্ছে বলে ভাটার শ্রমিকরা জানায়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ইট ভাটার পাশে প্রচুর জ্বালানি কাঠ,বাঁশের মুড়া এবং বস-য় বস-ায় টায়ার ও রাবার স’প চোখে পড়ে। উপজেলার অধিকাংশ ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলার ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল জানান, ছাড়পত্র নবায়ন ছাড়াই এক বছর ভাটা চালানো যায়। কোন অনিয়ম করছি না সব কিছুই আইনের আওতায় করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক ইট ভাটার মালিক জানান, পত্র-পত্রিকায় কোন নেতিবাচক খবর প্রকাশ না করা এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করার জন্য অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা  করে  প্রতি বছর ইট ভাটা মালিক সমিতি আদায় করে থাকেন। অনেক ইট ভাটার মালিক পরিবেশ দুষণকারী ড্রাম চিমনি বসিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে সচেতন মহল গাইবান্ধার জেলা প্রশাক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস-ক্ষেপ দাবী করেছেন।

মো: ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here