অনুপম দেব কানুনজ্ঞ

অনুপম দেব কানুনজ্ঞ :: প্রিয় দেশবাসী, নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের নতুন এপিসেন্টার বা কেন্দ্র- ইউরোপ থেকে বলছি৷ এপিসেন্টারে থেকেও আমি নিজেকে নিয়ে নয়, বরং দেশ নিয়ে বেশি চিন্তিত৷

প্রিয় দেশবাসী,

আমাদের কয়েক প্রজন্ম এর আগে কখনো বিশ্বজুড়ে এমন ভয়াবহতার মুখোমুখি হয়নি৷ বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছি, যাচ্ছি৷ কিন্তু কখনোই এমন কিছু আমাদের সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করেনি৷

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট আছে, রাজনৈতিক বিভেদ রয়েছে, ভারতে হিন্দুত্ববাদের উত্থান আমাদের ভাবাচ্ছে৷ মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে ইয়েমেনে ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে৷ ইউরোপে শরণার্থী সংকট এবং ডানপন্থি উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে৷ কিন্তু তারপরও এইসব ইস্যুকে আমরা বৈশ্বিক সংকট না ভেবে স্থানীয় সংকট ধরে নিয়ে দিনের পর দিন নির্বিকার থেকেছি৷

কিন্তু এখন এমন এক বিপদের সম্মুখীন আমরা, যা আমাদের সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে৷ বিশ্বজুড়ে এখন মানবজাতির একটাই শত্রু- নভেল করোনা ভাইরাস৷ কিন্তু সেই শত্রুর মোকাবিলাতেও আমরা আমাদের স্বভাবসুলভ হিংসা-দ্বেষ-স্বার্থপরতা থেকে বের হয়ে আসতে পারিনি৷  একটা সাধারণ কথা আমরা বুঝতে পারছি না আর তা হলো, ভাইরাস কোনো ধর্ম চেনে না, দল চেনে না৷ ভাইরাসের জন্য নয়, ভাইরাস ঠেকাতে আমাদের উদাসীনতায় আমি বেশি আতঙ্কিত৷

প্রিয় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা,

আর কেউ মানুক আর না-ই মানুক, আমি জানি, এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হবো৷ আর সে বিজয়ে আমাদের নায়ক হবেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ সে বিজয়ে আগাম অভিনন্দন ও আমার পক্ষ থেকে স্যালুট রইলো৷ যেভাবে বিশ্বজুড়ে নিজের ও নিজের পরিবারের প্রাণ বিপন্ন করে আপনারা কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে লড়াই করছেন, আমি চিরকৃতজ্ঞ৷

সাংবাদিক হিসেবে আমি বিশাল দায় অনুভব করি মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের, সত্য প্রতিষ্ঠার৷ আমি গর্বও বোধ করি, একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে যেভাবে মত প্রকাশ ও সংবাদ প্রকাশের ওপর খড়গ নেমে আসছে, তাতেও শঙ্কা বোধ করি৷ কিন্তু এই প্রথম আমার আফসোস হচ্ছে, আমি সাংবাদিক না হয়ে যদি ডাক্তার হতে পারতাম!

আপনারা জানেন, ইটালি, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, এস্তোনিয়াসহ ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশ হয় লকডাউনে আছে, না হয় জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে, অথবা কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে৷ কারণ একটাই, সবাইকে নিরাপদে রাখতে বাধ্য করা৷

দুদিন আগে রাত ৮টার সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ নিজের বাসার বারান্দা ও জানালায় দাঁড়িয়ে একসঙ্গে হাততালি দিয়ে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন৷ যেসব দেশে এখনো পুরোপুরি জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, সেসব দেশে অনেকে হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে হাততালি দিয়েছেন৷ একটি ভিডিওতে দেখলাম, গ্রিসের এক হাসপাতালের জানালায় জড়ো হয়েছেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ বাইরে মানুষ তাদের জন্য হাততালি দিচ্ছেন দেখে এক নারী ডাক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ তাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছেন আরেক ডাক্তার৷

জার্মানিতে বসে আমি যখন এই চিঠি লিখছি, তখনও জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়নি৷ কিন্তু এরই মধ্যে ফার্মেসি, সুপারমার্কেট, পোস্ট অফিস আর ব্যাংক ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল জাতির উদ্দেশে ভাষণে বর্তমান পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় দুর্যোগ বলে উল্লেখ করে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন৷ তবে সবচেয়ে বড় কথা, তিনি বলেছেন, “বিষয়টা খুব সিরিয়াস, আপনারা সিরিয়াস হোন৷ গুজবে কান দেবেন না, বিজ্ঞানী ও ডাক্তারদের কথা শুনুন৷”

কিন্তু বাংলাদেশের ডাক্তাররা কী অবস্থায় আছেন? যা শুনতে পাচ্ছি, জানতে পারছি, আমি সত্যি যারপরনাই আতঙ্কিত৷ এই মুহূর্তে জনগণকে সবচেয়ে নিরাপদ রাখতে আগে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপদে রাখতে হবে৷ অথচ এখনো হাসপাতালগুলো প্রস্তুত না, ডাক্তারদের নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা৷ গাউন, মাস্ক, গ্লাভস সবকিছুরই অভাব৷

সেনাবাহিনী আক্রান্ত হলে দেশের সর্বনাশ৷ করোনাবিরোধী এই বিশ্বব্যাপী যুদ্ধকে কেন আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলবো না? আর এই যুদ্ধে আমাদের সেনাবাহিনী হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ অথচ এখনো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখে শুনি বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য প্রোটেকটিভ স্যুট নাকি আসছে! গত আড়াই মাস আপনারা কী করলেন!

অর্থের যদি অভাব হয়, এই মুহূর্তে আমাদের পদ্মা সেতু না হলেও চলবে, মেট্রোরেল কয়েক দিন পিছিয়ে গেলেও ক্ষতি নেই৷ আগে মানুষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করুন৷ মানুষ না থাকলে মেট্রোরেলে চড়বে কারা! আপনারা মুখে যা বলছেন, কাজে যা করছেন, আমি কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছি না৷ বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তাররাই এখনো জানেন না করোনা সংক্রমিত রোগী এলে কী করবেন৷ এটা মেনে নেয়া যায় না৷

প্রিয় নবাবজাদারা,

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘প্রবাসীরা অনেকে দেশে ফিরলে নবাবজাদা হয়ে যান৷” পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রসঙ্গে পরে আসছি৷ আমি দেশের যা অবস্থা দেখছি, তাতে দেশটাকেই নবাবজাদাতন্ত্র বলে মনে হচ্ছে৷ কেবল প্রবাসফেরতরা না, দেশে যারা রয়েছেন, তারাও কি কম নবাবজাদার মতো আচরণ করছেন? আমরা চীন এবং ইটালি থেকে কোনো শিক্ষাই নেইনি৷

ইটালিতে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ হাসপাতালকে কোয়ারান্টিন করা হয়নি, কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ ইটালি অন্য সব পশ্চিমা দেশের চেয়ে অনেকটাই আলাদা৷ দেশটির প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের বেশি৷ এবং তাদের বেশিরভাগই যৌথ পরিবারে বাস করেন৷ ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য আদর্শ দেশে পরিণত হয়েছে ইটালি৷

আপনারা জানেন, এই ভাইরাস তরুণদের শরীরে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারলেও ৬০ বছরের বেশি বয়সি মানুষদের জন্য মৃত্যুর আশঙ্কা ডেকে আনে৷ ইটালির সরকার সে বিবেচনায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত সব ছুটি দিয়েছিল, যাতে সবাই নিজ নিজ বাসায় থাকতে পারেন৷ আমরা তরুণরা কী করেছি? সারাদিন বাসায় থেকে রাতে নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি৷ নিজেদের মধ্যে ভাইরাস লেনদেন করে সেই ভাইরাস বয়ে নিয়ে এসেছি বাসায়৷

এই মুহূর্তের কথা জানি না৷ আমার আর করোনা সংক্রান্ত সংখ্যা দেখতে ভালো লাগছে না৷ কিন্তু এক সপ্তাহ আগেও ইটালিতে মৃতের গড় আয়ু ছিল ৮১৷ ভাবতে পারছেন? এটা কী হত্যার চেয়ে কোনো অংশে কম অপরাধ?

বাংলাদেশেও প্রথম মৃত্যু সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তির৷ আইইডিসিআর জানিয়েছে, তিনি বিদেশে যাননি৷ বিদেশ থেকে আসা পরিবারের সদস্যের সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি৷ জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ওই ব্যক্তি কোনো ধরনের কোয়ারান্টিনে থাকেননি৷ কিছুদিন বাংলাদেশে থেকে আবার যুক্তরাষ্ট্রে চলেও গিয়েছেন তিনি৷ ধারণা করা হচ্ছে, তার সংস্পর্শে থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সত্তোরোর্ধ্ব এই ব্যক্তি৷ এটা কি হত্যার চেয়ে কম বড় অপরাধ?

যারা বিদেশ থেকে যাচ্ছেন, আপনারা স্বার্থপর হলেও তো নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে কোয়ারান্টিনে থাকা উচিত৷ তা না করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছেন, বিয়ে করছেন, যেখানে সেখানে আড্ডা দিচ্ছেন৷ আমি আপনাদের কী বলবো, খুঁজে পাচ্ছি না৷

আমার ষাটোর্ধ্ব বাবা লিভার সিরোসিসের রোগী, হেপাটাইটিস সি ভাইরাসেও আক্রান্ত ছিলেন৷ আমি কি ভাইরাসটা বয়ে নিয়ে গিয়ে আমার বাবার মৃত্যুর কারণ হবো? অবশ্যই না৷ এতটুকু সাধারণ জ্ঞান প্রতিটি মানুষের থাকা উচিত৷

বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে, কিছু মানুষ সেটাকে ইদের ছুটি মনে করে পিকনিকে যাচ্ছেন, বেড়াতে যাচ্ছেন৷ মানুষ কতটা বুদ্ধিহীন হলে নিজের পরিবারকে এমন বিপদে ফেলতে পারে?

আপনারা মাস্ক কেনার জন্য, স্যানিটাইজার কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন৷ রাস্তায় পানের পিক আর থুতু ফেলা বন্ধ করেছেন? টিস্যু যেখানে সেখানে ফেলা বন্ধ করেছেন?

পুরো বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে বিজ্ঞানীদের দিকে, কবে আবিষ্কার হবে ভ্যাকসিন৷ যারা ধর্মপ্রাণ, তারাও প্রার্থনা করছেন যাতে বিজ্ঞানীরা দ্রুত ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেন৷ প্রায় পুরো বিশ্বে ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ জার্মানির সব গির্জায় রোববারের প্রার্থনাতেও জমায়েত না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সৌদি আরবে মসজিদে নববী ও মসজিদে হারাম ছাড়া সব মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে৷

কুয়েতে তো মসজিদের আযানের বাণীই পালটে দেয়া হয়েছে৷ ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ (নামাজে আসো) লাইনটির জায়গায় আযানে বলা হচ্ছে ‘আল-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’, অর্থ্যাৎ, ঘরে বসে নামাজ আদায় করো।

অথচ আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিল চলছে দেদারসে৷ এমনকি সেখানে কোনো কোনো হুজুর করোনার ভ্যাকসিন স্বপ্নে পাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন, কেউ হুমকি দিচ্ছেন মসজিদ বন্ধ হলে দেশ অচল করে দেয়ার৷ কোনো এক জেলায় তো দেখলাম করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে গণদোয়া মাহফিলে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছেন৷ এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন?

ধর্মভীরু আর ধর্মব্যবসায়ীর মধ্যে বিরাট তফাত রয়েছে৷ স্বভাবতই ধর্মব্যবসায়ীদের রমরমা বেশি, কারণ, আমরা কঠিন সত্যের চেয়ে মিষ্টি মিথ্যা শুনতে পছন্দ করি৷ কিন্তু কিছু ওয়াজকে এই মুহূর্তে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই৷ প্রথমত, এইসব ওয়াজে বয়স্করাই বেশি আসেন৷ ফলে ভাইরাস মহামারী রূপ নিতে দেরি করবে না৷ দ্বিতীয়ত, সেসব ওয়াজে যেসব ভুল তথ্য ছড়ানো হয়, সেগুলোও মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে৷

প্রিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী,

আমি জার্মানিতে থাকি৷ রেমিটেন্স পাঠাই বলে আমার আলাদা কোনো দাবি নেই, নিজেকে বিশেষ কিছু মনেও করি না৷ কিন্তু প্রতিটি প্রবাসীর মতো দেশের অনেক কিছু পছন্দ না হলে, সমালোচনা করলেও প্রাণটা পড়ে থাকে দেশে৷

পুরো পৃথিবী অন্য দেশে বিপদে পড়া নিজের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে৷ এমনকি ইটালির মতো জায়গা থেকেও নিজের দেশে আসা আটকায়নি কোনো দেশ৷ ভারতও বিশেষ বিমানে ইউরোপ থেকে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছে৷ আপনারা নিজের দেশের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন, ‘‘ফিরবেন না”৷ একদিকে প্রবাসীদের অনেকে দেশে ফিরে যা ইচ্ছা করে বেড়াচ্ছেন, অন্যদিকে আপনারা প্রবাসীদের ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ বলে ছেড়ে দিচ্ছেন৷

জার্মানিতে ইন্টার্ন করতে এসে আটকেপড়া আমার এক সহকর্মীর এ মাসের শেষে দেশে ফেরার কথা ছিল৷ তার ভিসা, বাসা ভাড়ার চুক্তি, স্বাস্থ্যবিমা, সবই শেষ৷ আপনারা ফ্লাইট বাতিল করেছেন, ভালো কথা৷ তার অবস্থা কী হবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন?

আপনার বার্লিন দূতাবাস নিয়ম মেনে দুপুর একটায় আর কারো ফোন ধরছে না৷ দূতাবাসের ওয়েবসাইটে করোনার কারণে কাউকে সশরীরে আসতে বলা হলেও আটকে পড়াদের জন্য জরুরি কোনো নির্দেশনা নেই, হটলাইনও নেই৷

করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টারে আপনাদের দূতাবাসগুলো কি প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে? সে বিচারের ভার আপনার ভাষায় নবাবজাদাদের ওপরেই দিয়ে দিলাম৷

তবে সব প্রবাসীই দেশে ফিরলে নবাবজাদা হন না, কেউ কেউ মন্ত্রীও হন!

 

 

 

 

লেখক: জার্মানির ‘ডয়চে ভেলে’ কর্মরত সাংবাদিক। 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here