
ডেস্ক রিপোর্টঃঃ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে ডিজিটাল বাংলা এক্সরে অ্যান্ড ইসিজি নামক প্রতিষ্ঠান থেকে জালাল উদ্দিন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি তার পায়ের এক্সরে করান। কিছুক্ষণ পর এক্সরে এবং রিপোর্ট নিয়ে যান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সেখানে কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক এক্সরে ফিল্মের সঙ্গে রিপোর্টের গরমিল পেয়ে সেবা দিতে দ্বিধায় পড়ে যান। এটিই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসনিম আফরিন জ্যোতি।
জানা গেছে, সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গোস্টবিহার গ্রামের জালাল উদ্দিন দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান। যন্ত্রণা বাড়তে থাকলে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জালাল উদ্দিনের পায়ের এক্সরে করাতে বলেন। এরপর জালাল উদ্দিন সদর হাসপাতাল সড়কের ডিজিটাল বাংলা এক্সরে অ্যান্ড ইসিজি নামক প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে এক্সরে ও রিপোর্ট নিয়ে জরুরি বিভাগে গেলে চিকিৎসক দেখেন এক্সরে ফিল্মে পায়ের হাড় ফাঁটা দেখা গেলেও রিপোর্টে নরমাল লেখা থাকায় তিনি দ্বিধায় পড়ে যান।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাসনিম আফরিন জ্যোতি বলেন, ফিল্মে পায়ের হাড় ফাঁটা দেখা যাচ্ছে কিন্তু রিপোর্টে লেখা নরমাল। পরে এক্সরের ফিল্মের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমার কাছে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী রেজাউল করিমের দাবি, রিপোর্টটি অনলাইনের মাধ্যমে চিকিৎসক. সায়েদা জহুরুন্নেছা করেছেন। মাসিক চুক্তিতে ‘মেডিস্ক্যান’ নাম একটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে চিকিৎসক দ্বারা রিপোর্ট করে থাকেন। আমরা ইমেজ নিয়ে অনলাইনে পাঠিয়ে দেই। তারাই রিপোর্ট করেন। আমরা এখানে প্রিন্ট করে রোগীদের দিয়ে দেই।
এ বিষয়ে ডা. সায়েদা জহুরুন্নেছার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিদিন অনেক রিপোর্ট করতে হয়। তাই আবারও রিভিউ করে দেখতে হবে। এরপরই বলা সম্ভব।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হোসেনের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিক বার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।