মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ::

খুলনার পাইকগাছায় সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় একের পর এক ইউপি সদস্য রক্তাক্ত জখম ও লাঞ্চিত। থানায় মামলা হয়েছে নং-১৮। উপজেলার বৃহত্তম ইউনিয়ন চাঁদখালী সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন ও খুলনা হাজী মহসিন কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা কাইয়ুম হোসেন নান্নু রক্তাক্ত জখম করা হয়।

এ ঘটনায় ইউপি সদস্য কাইয়ুম বাদি হয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান (৩৫) সহ তার সহযোগী ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ নভেম্বর ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য জুলেখা খাতুন কে ঐ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা ও লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ঐদিন ইউপি সদস্য থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শক্রবার বেলা ১১ টার দিকে চাঁদখালী বাজারের স্টলে বসে চা পান করা অবস্থায় ইউপি সদস্য কাইয়ুমকে জঙ্গী বাংলা ভাই ন্যায় ফ্লিম স্টাইলে মাথা-মুখে কিল ঘুষি মেরে ফেলে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ইউপি সদস্যের তার ৩ ও ৫ বছর বয়সের দু’শিশু সন্তান সাথে ছিলো। ইউপি সদস্য ও শিশুদের আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। মঙ্গলবার এক গ্রাম পুলিশকেও মারপিট-লাঞ্চিতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ঘটনায় মামলায় ২নং আসামী কালিদাশপুর গ্রামের শুকুর আলী সরদার কে সোমবার বিকালে তার বাড়ি থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করে।

তবে এ দুর্ধর্ষ আসামী মঙ্গলবার আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। অন্যান্য আসামীরা এ সময় ইউপি সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি সদস্য জুলেখা খাতুন, রূপা ও অনিসুর রহমান সানা বলেন, আমরা নিরাপত্তা হীনতা বোধ করছি। পরিষদে যেতে ভয় পাচ্ছি। নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা মো. আবু ইলিয়াসের ছত্রছায়ায় থাকা এ সব সন্ত্রাসীরা এলাকায় তান্ডব চালিয়ে সন্ত্রাসী ইউনিয়ন করতে চাইছে।

একের পর এক ইউপি সদস্যদের মারপিট ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় ইউপি সদস্যবৃন্দ সংশ্লিষ্ট প্রশাসের কাছে প্রতিকার দাবি করেছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য কে মারপিটের ঘটনা খুবই দুঃখ জনক। আমি এ জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ সময় তিনি আরো অভিযোগ করেন ইতোপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ফাতিমা তুজ জোহরা রূপাও লাঞ্ছিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান
শাহাজাদা মো. ইলিয়াস মুঠফোনে বলেন, সহকর্মীদের মারপিট ও লাঞ্চিতের ঘটনা খুবই দুঃখ জনক। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করে বলেন, কোন অন্যায়কে প্রশ্রায় দেওয়া হবে না।

থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here