আটককৃত জাহাঙ্গীর হোসেন বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের শিরট্টি এলাকায়।
জানা গেছে, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার বিকেলে ভারাহুত শিরট্টি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেনকে পুলিশ আটক করে।
বিদ্যালয়টির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের কৃষি বিষয়ে ক্লাস নিতেন। তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিং করে আসছিলেন। বিষয়টি ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানতে পেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, এডহক কমিটি ও প্রশাসনকে অবগত করেন।
ওই বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি এরশাদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে ছাত্রীরা ও অভিভাবকরা গত ৩০ জুলাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে ও আমাকে জানায়। বিষয়টি ইউএনও, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, থানা-পুলিশকেও জানায়। পুলিশ আজ বিদ্যালয়ে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জাহাঙ্গীরকে আটক করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. নাজমা আক্তার বানু ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেহেতু এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেজন্য আজ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ইউএনও স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি আসলে অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা, ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এ সময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাকে আটক করা হয়েছে।