একটি ব্রীজ বদলে দিতে পারে দুই ইউনিয়নের চিত্র মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি :: রাস্তা ঘাট সব থাকার সত্বেও দুই ইউনিয়নের সীমান্তে খালের উপর ব্রীজ না থাকায় ইউনিয়ন দুটিকে পৃথক করে রেখেছে। স্বাধীনতার ৪৪বছর পেরিয়ে গেলেও ওই খালের উপর কোন ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ফলে একটি ব্রীজই যেন ইউনিয়ন দুটিকে পৃথক করে রেখেছে। সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলেই পাল্টে যাবে দুই ইউনিয়নের চিত্র। এলাকাটি হচ্ছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও গৌরীপুর ইউনিয়নের সীমান্তে দিঘীরপাড় চতল ও বনগাও চতল গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাদার খাল।

দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ার কারনে কোন ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এপর্যন্ত কোন উদ্দ্যোগ নেয়নি। কোন ব্রীজ/ যানবাহন চলাচলের কোন উপায় না থাকার কারণে বনগাও চতল ও রামনগর চতল গ্রামের প্রায় ৫শতাধিক কৃষক পরিবার তাদের উৎপাদিত কৃষিজাতপণ্য বাজারজাত করার জন্য অনেক অর্থ ও সময় ব্যায় করে বনগাও বাজার হয়ে ঝিনাইগাতী বা শেরপুরে যেতে হয়।

এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় স্থানীয় কৃষকগণ। অথচ খালের উপর ব্রীজ থাকলে এতে সময় ও অর্থ উভয়ই কম হতো। এছাড়া ওই দুই গ্রামের বিদ্যালয়/কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও এ সমস্যার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে।

এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ার কারণে জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে শুধু ভোটের সময় ভোট নেন। নির্বাচন পেরিয়ে গেলে তারা আর এ এলাকার কোন খোঁজ খবর নেন না।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মানের কয়েক দফা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।

উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বাদশা বলেন, কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ করতে হলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। সেখানে ব্রীজ নির্মাণ করতে হলে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তবে সেখানে ব্রীজ নির্মানের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ প্রকৌশলী  এ.কে.এম ফজলুল হক  কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মানের বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

ওই এলাকার চাঁন মেম্বার, ফকির মেম্বার, মিস্টার আলী ও রাজ্জাক মিয়াসহ  ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর চিরদিনের দুঃখ লাঘবের জন্য কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণেরজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here