
মোঃ নুরুল ইসলাম রেণু :: এ যুগের একজন রোকেয়া ইসলামের নিরন্তর পথচলা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের গভার্নিং বডি’র চেয়ারম্যান মিজ রোকেয়া ইসলাম। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার, চলচ্চিত্র কাহিনীকার এবং সমাজকর্মী। পিতা মীর নূরুল ইসলাম, মাতা রিজিয়া ইসলাম টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা। তিনি প্রায় চার যুগ ধরে ঢাকার মিরপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতার মাধম্যে। তিনি একজন সৃজনশীল মানুষ। কবিতা, কথা সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ রচনার পাশাপাশি নাটক ও চলচ্চিত্রের কাহিনী রচনাতেও পারদর্শী। এ পর্যন্ত তাঁর ১২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তারমধ্যে ০২টি কাব্যগ্রন্থ, ০৮টি গল্পগ্রন্থ ও ০২টি শিশুতোষ গ্রন্থ। এছাড়াও ৩৫টি টিভি নাটক ও ২টি মূলধারার সিনেমার কাহিনীকার।
তিনি টাঙ্গাইল জেলার প্রথম নারী চলচ্চিত্র কাহিনীকার এবং অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তন্মধ্যে তিনি প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র এর গভার্নিং বডি’র চেয়ারম্যান, ডরপ্-এর নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বাংলা একাডেমির একজন সদস্য।
মিজ ইসলাম তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন সংগঠন হতে বহুবার সম্মানিত হয়েছেন। এর মধ্যে নবকল্লোল-ঢাকা প্রবর্তিত নজরুল সম্মাননা, অরণী গল্প প্রতিযোগিতা পুরস্কার, অপরাজিত সাহিত্য পদক, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-ইউএসএ কর্তৃক সমাজবন্ধু এ্যওয়ার্ড, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-ইউএসএ কর্তৃক মেমোরিয়াল এ্যওয়ার্ড, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার (ভারত) ও টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদ পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।
মিজ রোকেয়া ইসলামের ব্যবসায়ী স্বামী আসাদুজ্জামান আরজু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। জনাব আরজু কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্মসচিব হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন। মিজ রোকেয়া ইসলামের সন্তানেরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সফল। পুত্র রুবাইয়াত জামান টিটো একজন প্রকৌশলী, বর্তমানে এলজিইডিতে কর্মরত, বড় কন্যা সিলভানা ইসরাত সোমা ডাক্তার ও ছোট কন্যা উম্মুল ওয়ারা রুম্পা একজন ব্যাংকার।
তিনি আজীবন মাটি-মানুষ, সর্বোপরি প্রকৃতির প্রতি নিবেদিত প্রাণ একজন মানুষ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হিসাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরন্তর সচেষ্ট।
প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান হিসাবে তার এই পথচলা সফল হোক।
লেখকঃ উপ-পরিচালক, প্রশিকা তথ্য, নথি ব্যবস্থাপনা ও গণসংযোগ বিভাগ।