সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “এখনো সময় আছে আলোচনার মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।”
তিনি বলেন, “এই নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না। আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আপনারাও নির্বাচন কমিশন নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। সেটা যদি দোষের না হয় তাহলে আমাদের দোষ হবে কেনো? আমরাও আন্দোলন করবো। তবে আপনাদের মতো লগি বৈঠা দিয়ে ও বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যার আন্দোলন করবো না। আমরা ৬৯ ও ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের মতো আন্দোলন করবো।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন ২০১২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুপুর বারোটা পাঁচ মিনিটের সময় খালেদা জিয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে নির্মিত মঞ্চে উঠেন। বেলা দুইটায় বক্তৃতা শুরু করে এক ঘণ্টা দশ মিনিট বক্তব্য রাখেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, হান্নান শাহ, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ নেতারা।
সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএফইউজের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজের সভাপতি আবদুস শহীদ, সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন প্রমুখ।
এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নির্যাতিত সাংবাদিকরাও তাদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সারা দেশের জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক ইউনিয়নের সহস্রাধিক সাংবাদিক নেতা যোগ দেন।