ষ্টাফ রিপোর্টার :: আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ২০১৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু হওয়া নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আর যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু না হলে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা বিলম্বিত হওয়াসহ শিক্ষাজীবন দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কার কথা জানালেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিকে ঘিরে ঘটছে প্রাণহানি, জ্বালাও পোড়াও আর সহিংসতা।
টানা হরতালের কারণে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচী। শুধুমাত্র শুক্র, শনিবার করেই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থীকে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু অস্থির রাজনীতির কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু হওয়া নিয়ে সংশয় কাটছে না শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, সহিংসতার কারণে পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছি। এ অবস্থায় প্রস্তুতিও ভালোভাবে নিতে পারছি না। রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
ভিকারুন্নিসা কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন জানান, ‘পরীক্ষা যদি সুষ্ঠুভাবে সময়মতো অনুষ্ঠিত না হয় তবে শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব পড়তে পারে। ‘
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তুহিন আফরোজা আলম বলেন, ‘সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে না পারলে শিক্ষার্থীদের জীবন ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। ‘
দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে শিক্ষাকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে রাখার তাগিদ দিয়েছেন তারা।