সাতক্ষীরা শহরে অভাবের তাড়নায় ও সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যার্থ হয়ে দুই সস্তানের জননী গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের মুনজিতপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। আত্নহননকারি গৃহবধূ হলো শহরের মুনজিতপুর এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী লিপি খাতুন ২৫)। লিপি’র ৬ মাস ও ২ বছর বয়সী ২ টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিপি খাতুন তার স্বামী ফারুক হোসেনের সাথে শহরের মুনজিতপুর এলাকার প্রফেসর এনামুল হকের মালিকানাধীন একটি টালী সেডের বাড়িতে ভাড়া থাকত। অভাবের তাড়নায় তারা শহরের কয়েকটি সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করে। স্বামীর অপারগতায় লিপি অন্যের বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোন রকমে সমিতির ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ করে আসছিল। ঋনের কিস্তির টাকা বাড়তে থাকার এক পর্যায় তাদের দ্বিতীয় কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করার পর লিপির স্বামী ফারুক তাকে ও তার সন্তানদের রেখে ইট ভাটায় কাজ করার নাম করে ঢাকায় চলে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে দু’টি শিশু সন্তাান নিয়ে সে একেবারে অসহায় হয়ে পড়ে। লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেও সন্তানদের নিয়ে সে সংসার চালাতে পারছিল না। তার উপর বাড়তে থাকে সমিতির ঋনের কিস্তির টাকা শোধ করার চাপ। লিপির প্রতিবেশীরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে সে তার স্বামীর কাছে মোবাইলে ফোন করে সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে বাড়িতে আর ফিরবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায় বেলা দেড়টার দিকে লিপি ঘরের মধ্যে তার দুই কন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেছিয়ে আত্নহত্যা করে। দুপুর দুইটার দিকে ঘরের মধ্যে লিপির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদান্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে লিপি কোন কোন সমিতি থেকে ঋন নিয়েছিল তা জানা যায়নি।
ইউনাইটেডনিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা