কায়রোর পরিস্থিতি এখনো বেশ উত্তপ্ত৷ আজ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গেছে তিন জন৷ তবে এসবের পেছনে রয়েছে বুধবারের ফুটবল খেলা৷ সেই খেলার শেষে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তাতে ৭৪ জন মারা যায়৷
রাজধানি কায়রোতে মারা গিয়েছে একজন এবং সুয়েজ শহরে মারা গিয়েছে দু’জন৷ এবং সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় একহাজার সাতশোজন৷ তবে আজ আরো কয়েকটি শহরে বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে৷
বৃহষ্পতিবার বেশ কিছু আন্দোলনকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হয়৷ তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ আরো অনেকেই জড়ো হয়েছিল তাহরির স্কোয়ারের সামনে৷ পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ফুটবলের মাঠের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি৷ আর তার প্রতিবাদেই আয়োজন করা হয়েছিল এই বিক্ষোভ৷ রায়ট পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে৷ তখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উদ্দেশ্যে ইঁট-পাথর ছুঁড়ে মারে৷
এসব আন্দোলনকারীরা আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে৷ দাবি জানিয়ে আসছে যাতে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়৷ আগামী জুন মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা৷ দেশের সর্বোচ্চ কাউন্সিল তা জানিয়েছে৷ তবে অনেকেই মনে করছে যে, বুধবার ফুটবলের মাঠে যে সংঘর্ষ বেধেছে তার পেছনে সেনাবাহিনী রয়েছে৷ দেশের নিরাপত্তার অবস্থা ভাল না – এই অজুহাতে সেনাবাহিনী এবার আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে৷
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তজাতিক ডেস্ক