বিনোদন প্রতিনিধি ::
ঈদ উল ফিতর ২০২৪ উপলক্ষে “মিউজিক অফ বেঙ্গল” এর ব্যানারে শিল্পী কামাল আহমেদ ও রুমানা ইসলাম এর মিউজিক ভিডিও “ব্লুজ লাভ” প্রকাশিত হবে। ঈদ উল ফিতরের আগের দিন সন্ধ্যা ৭ টায় চাঁদ রাতে “মিউজিক অফ বেঙ্গল” এর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডের মাধ্যমে এই মিউজিক ভিডিওর প্রকাশনা সম্পন্ন করা হবে।
এই মিউজিক ভিডিও গানটির কথা লিখেছেন- বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ, সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন- ইবনে রাজন, চিত্রগ্রহণ ও পরিচালনা করেছেন জামিউর রহমান লেমন। এটি একটি “ব্লুজ” ধারার সঙ্গীত কর্ম। এই গানটি “মিউজিক অফ বেঙ্গল” ছাড়াও অ্যাপল মিউজিক, স্পোটিফাই, আমাজন, বোমপ্লে, জিওসেভন ও ডীজার সহ আরো অনেক আন্তর্জাতিক অডিও প্ল্যাটফরমে পাওয়া যাবে। গানটি উল্লেখিত প্ল্যাটফরমগুলি হতে যে কোন শ্রোতা শুনতে বা ডাউনলোড করতে পারবে। ডিস্ট্রিবিউটার হিসেবে কাজ করছে “গান বাক্স মিউজিক”। ডিজিটাল সাপোর্টার হিসেবে কাজ করেছে ভারজডসফট লিমিটেড।
ব্লুজ হল একটি সঙ্গীতের ধারা এবং সঙ্গীতের ফর্ম যা ১৮৬০ দশকের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে
উদ্ভূত হয়েছিল। ব্লুজ আফ্রিকান-আমেরিকান সংস্কৃতি থেকে আধ্যাত্মিক, কাজের গান, ফিল্ড হোলার, চিৎকার, মন্ত্র, এবং ছন্দযুক্ত সরল আখ্যানমূলক ব্যালাড অন্তর্ভুক্ত করেছে। ব্লুজ ফর্মটি জ্যাজ, রিদম এবং ব্লুজ এবং রক অ্যান্ড রোলে সর্বব্যাপী এবং একটি ডাক এবং প্রতিক্রিয়া বিন্যাস, ব্লুজ স্কেল এবং নির্দিষ্ট কর্ড অগ্রগতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে বারো-বারের ব্লুজ সবচেয়ে জনপ্রিয়।
এছাড়াও, নীল নোট (বা “চিন্তিত নোট), সাধারণত তৃতীয়, পঞ্চম বা সপ্তম পিচে কোমলতা সঙ্গীতের একটি অপরিহার্য অংশ। ব্লুজ শাফল বা ওয়াকিং বেজ মোহগ্রস্থের মতো ছন্দকে শক্তিশালী করে এবং একটি পুনরাবৃত্তিমূলক প্রভাব তৈরি করে যা গ্রুভ নামে পরিচিত।
সঙ্গীত শিল্পী কামাল আহমেদের বড় পরিচয় তিনি একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ বেতারের উপ-
মহাপরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন। সরকারি চাকুরীকে ছাপিয়ে তিনি সঙ্গীতে হয়েছেন ঋদ্ধ। সঙ্গীতের সব শাখাতেই তার বিচরণ রয়েছে।
গানের সুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে কামাল আহমেদ সাধনা করে চলেছেন। বিশুদ্ধ গান তাকে টানে এবং তার মনে
ভালোলাগার জোয়ার আনে। সেই ভালোলাগা থেকেই একে একে তার ৩০টি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
প্রামাণ্যচিত্র : শিল্পী কামাল আহমেদ পরিচালিত ২ (দুই)টি প্রামাণ্যচিত্র হলো :
০১. “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু” (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ভিত্তিক প্রামাণ্য
চিত্র)
০২. “ধ্বনির অগ্রপথিক” (বাংলাদেশ বেতারের প্রামাণ্যচিত্র)
এছাড়াও শিল্পী কামাল আহমেদ তাঁর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ১১ (এগারো) টি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক
পদক লাভ করেন:
০১. সার্ক ক্যালচারাল সোসাইটি এ্যাওয়ার্ড (২০১০)
০২. বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশন এ্যাওয়ার্ড (২০১৫)
০৩. অদ্বৈত মল্লবর্মণ এ্যাওয়ার্ড, মহারাজা বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত (২০১৭)
০৪. বীর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এ্যাওয়ার্ড, আগরতলা, ত্রিপুরা, ভারত (২০১৭)
০৫. ফোবানা এ্যাওয়ার্ড, কানাডা (২০১৭)
০৬. রাজশাহী বেতার শিল্পী সংস্থা সম্মাননা (২০১৮)
০৭. জাতীয় রবীন্দ্র গবেষণা ও চর্চা কেন্দ্র সম্মাননা (২০১৯)
০৮. আকাশ মিডিয়া ভুবন সম্মাননা (২০২২)
০৯. “বঙ্গবন্ধু সম্মাননা” (২০২৩)
১০. “ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি অ্যাওয়ার্ড (২০২৩)
১১. “দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যাওয়ার্ড” (২০২৩) (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
সত্যিই গান হয়ে আছে তাঁর প্রাণ। সঙ্গীতময় জীবনে তিনিও সবার শুভকামনা চান, চান সঙ্গীত – ভরা জীবনের সুন্দর একটা জয়। যে সঙ্গীত সুন্দরের কথা বলে – সেই সঙ্গীত নিশ্চয়ই গড়ে দেবে তাঁর ব্যতিক্রমী জীবনের ভিত। শিল্পী কামাল আহমেদের গাওয়া গানের মন ছুঁয়ে যাওয়া সৌরভ-গৌরব হয়ে ছড়িয়ে পড়–ক সবার মনে ও মননে।