রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারস্থ মেঘনা বীচসারোয়ার মিরন:: রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারস্থ মেঘনা বীচ এবং বেড়ী বাঁধ এলাকা লক্ষ্মীপুরের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। গতো কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্রিক ছুটির দিনগুলোতে এ এলাকায় দর্শনাথীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। দেশের নানান প্রান্ত থেকে আসেন পর্যটক। সাথে আছে রামগতি-কমলনগর তথা লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় জনসাধারনের ব্যাপক উপস্থিতি।

আসন্ন ঈদ উল ফিতরের নয় দিনের দীর্ঘ ছুটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কেননা এবারই প্রথম প্রায় চার কিলোমিটার পাথুরে বেড়ী বাঁধের পূনাঙ্গ রুপ দেখা যাবে মেঘনার তীরে। নদী এবং এর তীর সংলগ্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপার লীলা উপভোগ করা যাবে সম্পূর্নই।

এছাড়াও রামগতির বয়ারচর, টাংকির খাল স্লুইসগেট, রামগতির বাজার সংলগ্ন বেড়ী বাঁধ, মতির হাট এবং কমলনগরের হাজীরহাটস্থ মেঘনা তীর ও বেড়ী বাঁধ এলাকায়ও দর্শনার্থীদের ব্যাপক আগমন ঘটবে।

গতো কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, বীচ এলাকায় ভালো মানের খাবারের কোন হোটেল-রেস্তরা না থাকায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের পড়তে হয় নানান বিড়ম্বনায়। নেই প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদনের কোন সুব্যবস্থাও। অবশ্য গতো বছর স্থানীয় কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী এগিয়ে এসেছেন। এবার এমন প্রচেষ্টা আরো বাড়বে বলে জানা গেছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারনে সার্বিক ভাবে উভয়পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা করছেন অনেকেই।

যৌন হয়রানি, ছিনতাই সিনক্রিয়েটের মতো দু একটি ঘটনা ঘটার কথা শোনা গেলেও তা নিতান্তই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেবার জন্য স্থানীয় প্রসাশন, সাংসদ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠগন গুলোর নানামুখী প্রচেষ্টা ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে এবার পূর্নাঙ্গ বাঁধ দৃশ্যমান হওয়ায় আইন শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি উপস্থিতি প্রয়োজন।

রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারস্থ মেঘনা বীচ

গত ঈদে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর নাম্বার সম্বলিত প্লেকার্ডসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে রামগতি পৌরসভার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন। এবারও তেমন পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষকৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলা, প্রতিযোগীতাসহ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের। ইচ্ছে করলে যে কেউ এতে অংশ নিতে পারবেন।

চার কিলোমিটার বেড়ী বাঁধের উপর বেশ কয়েকটি বসার বেঞ্চ (সিঁড়ি) স্থাপন করা হয়েছে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য। তবে বাঁধ এলাকায় সান্ধ্যকালীন ল্যাম্পপোস্ট (আলোর) ব্যবস্থা করলে দর্শনীর্থীরা উপকৃত হতো।

দর্শনার্থীর পদচারনা আরো সুখকর করতে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর আগেই যান চলাচল উপযোগী করা হোক আলেকজান্ডার টু সোনাপুর সড়কের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লাগোয়া এক কিলোমিটার রাস্তার। কেননা ঈদ উপলক্ষ্যে যান চলাচল এবং মেঘনা বীচ ও বেড়িবাধ এলাকায় সাধারন জনগনসহ দর্শনার্থীদের সমাগম অনেক বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখ্য যে, মাস খানেক আগে রাস্তাটির সংষ্কার কাজ করা হলেও প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারনে বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। উক্ত সড়কটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত তিনটি (নুরিয়া হাজীরহাট টু রামগতি উপজেলা সড়ক, নুরীয়া হাজীর হাট – এ আখের প্রাইমারী স্কুল টু সিনেমা হল সড়ক) সড়কের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। আলোচ্য সমস্যা গুলো দ্রুত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

 

 

লেখক: সারোয়ার মিরন, রামগতি পৌরসভা, রামগতি, লক্ষ্মীপুর। ইমেইল: jharapata87@gmail.com

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here