গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি ::
করোনার ধকল কাটিয়ে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশী গরু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছে হিলির গরুখামারি ও কৃষকরা। অবৈধপথে ভারত থেকে গরু আসলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকায় সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান বন্ধের দাবি জানান তারা । এদিকে খামারীর সংখ্যা বাড়াতে প্রণোদনাসহ সরকারী সব ধরনের সহযোগিতার দিচ্ছেন প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
করোনার ধকল কাটিয়ে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছে হিলি সীমান্তসহ উপজেলার ছোট-বড় খামারীরা। তবে দেশের অধিকাংশ স্থানে লাভের আশায় বিদেশী জাতের গরু ধুষ্টপুষ্ট করা হলেও এখানকার চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। খোলা মাঠে চড়ে বেড়ানো এসব দেশী জাতের গরু প্রাকৃতিক ঘাস,খড় খেয়েই বড় হয়,আর তাই বাড়তি খাবার
খাওয়াতে হয় না খামারী ও কৃষকদের।
গেলো কয়েক বছর ঈদের আগে ভারতীয় গরু বাজার দখলে নেওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় সীমান্তের খামারী ও কৃষদের। তবে ইদানিং হিলি সীমান্তে বিজিবির কড়াকড়ির কারনে আবারো খামারী ও কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে গরু পালনে। এবারো লোকসান এড়াতে অবৈধ পথে গরু আসা বন্ধের দাবি করেছেন এখানকার খামারি ও কৃষকরা।
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: রতন কুমার ঘোষ বলেন, খামারিদের ও কৃষকদের উৎসাহ দিতে সরকারী প্রণোদনাসহ সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিস। এতে করে দিন দিন গরু পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলায় ৩ হাজার ছোট- বড় খামার রয়েছে।
এবার উপজেলায় ঈদকে সামনে রেখে ১৬াজার ৪ পশু ৮৮ টি গরু ছাগল মোতা তাজাকরণ করা হচ্ছে আর চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার । চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত কোরবানির পশু পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে।