কক্সবাজার জেলার রামুর ঈদগড় ও বান্দরবান, নাইক্ষ্যংছড়ি  উপজেলার বাইশারীর বিভিন্ন উপজাতীয়  পল্লী  এলাকায় বিজিবি, পুলিশ ও ডিজি এফ আই যৌথ অভিযান চালিয়ে  উপজাতীয়দের বাড়িতে অবৈধভাবে তৈরীকৃত ১০ চান্দের গাড়ী সমপরিমান দেশীয় বাংলা মদ ও মদ তৈরীর উপকরণ সামগ্রী (পরিত্যক্ত অবস্থায়) আটক করা হয়েছে।  সোমবার ও মঙ্গলবার ২দিনের ২৫ ঘন্টা ব্যাপী বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযানে এসব মদ ও উপকরণসহ আটক করা হয়। আটককৃত মদ ও মদ তৈরীর উপকরণের আনুমানিক মূল্য প্রায় পঁচাত্তর লক্ষ চৌদ্দ হাজার আটশত পঞ্চাশ টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানায়।

বিজিবি সূত্র  জানায়, ১৭ বিজিবির দু’দিন ২৫ ঘন্টা ব্যাপী বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযানে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাপী ঈদগড় ইউনিয়নের উপজাতীয় এলাকা বৈদ্য পাড়া ও বাইশারী ইউনিয়নের উপজাতীয়  পল্লী  এলাকা নারিছবুনিয়া, লোহার ঝিরি পাড়া, গোল্ডেন পাড়া, চাকপাডা, বাইশারী বাজারের উত্তরে মগ পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় কক্সবাজার ১৭ ব্যাটেলিয়নের মেজর এম এ রাকিবের নেতৃত্বে বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড), পুলিশ ও ডিজিএফ আই এর সদস্যরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উপজাতীদের বাড়ীতে তৈরী করা এবং বিক্রি ও পাচারের অপেক্ষায় মজুদ রাখা বিপুল পরিমান বাংলা মদ ও মদ তৈরীর বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম উদ্ধার করে। তবে অভিযানের সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে ১৭ বিজিবি অপারেশনাল অফিসার মেজর এম এ রাকিব জানিয়েছেন। উদ্ধারকৃত মদ ও সরঞ্জাম গুলি ১৭ ব্যাটেলিয়নে বিজিবি ক্যাম্প হেফাজতে যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী বিজিবির মেজর এম এ রাকিব ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কমকে জানান, মাদকদ্রব্য তৈরী ও পাচার রোধে বিজিবির অভিযান অব্যহত থাকবে এবং অভিযানে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমান মদ ও মদ তৈরীর  সরঞ্জামের মুল্য আনুমানিক অর্ধকোটি টাকা হবে বলেও জানান। দীর্ঘ বছর পর অবাধে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বেচা কেনার চিহ্নিত  পয়েন্ট হিসাবে পরিচিত উপজাতীয় পল্লীতে মাদক দ্রব্য রোধে অভিযান পরিচালনা করায় কক্সবাজার ১৭ ব্যাটেলিয়নের বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সদস্যদের এলাকাবাসী সাধুবাদ জানান ও এ অভিযান অব্যহত রাখার জন্য আহাব্বান জানান।  উল্লেখ্য, এছাড়াও এ ধরণের টাস্কফোর্স অভিযানে কিছুদিন আগে উক্ত এলাকার ৭০ টি ছোট ছোট মদ তৈরীর কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে।

মেজর এম এ রাকিব আরো জানিয়েছেন, উক্ত এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ীই মদ তৈরীর কারখানা হিসেবে ব্যবহার হতো। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য, উপজাতীয়দের মদ পানকরার ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শিথিলতা থাকলেও মদ তৈরী করে বিক্রি করা তাদের জন্য দন্ডনীয় অপরাধ। উক্ত এলাকা হতে চট্টগ্রাম ও ঢাকা কেন্দ্রীক কিছু সিন্ডিকেট  রাতে ও দিনে  গাড়ীতে করে গোপনে ও প্রকাশ্যে দেশী মদ সংগ্রহ করে বছরের পর বছর অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল এবং তারা উক্ত এলাকার বাসিন্দাদের অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসত বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানান ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কামাল আজাদ/কক্সবাজার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here