নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুসন্ধান কমিটি রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের কাছে নামের তালিকা জমা দেবে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব একেএম নেসার উদ্দিন ভুঁইয়া সোমবার সাংবাদিকদের জানান, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করবে।
আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সিইসি পদের জন্য দুটি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য চারটি নাম পেশ করবেন।
কমিটির সদস্যদের সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।
রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান গত ২২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেন।
গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এ ব্যাপারে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। তবে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এবং অন্য কয়েকটি দল নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে।
সংলাপের পর গত ২২ জানুয়ারি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবি অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটি গঠনের পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ পেশ করার জন্য কমিটিকে নির্দেশ দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে ৬টি রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটির কাছে নাম পাঠিয়েছে। দলগুলো হচ্ছে- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু), গণতন্ত্রী পার্টি এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের মেয়াদ ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। আর আরেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হুসেনের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফলে নতুন ইসির নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা নিরসনে রাষ্ট্রপতি গত ১৮ ডিসেম্বর সংলাপ আয়োজনের ঘোষণা দেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৯ জন নির্বাচন কমিশনার ও ১০ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার