বাল্য বিবাহসহ নানা কারণে জেলার ইসলামপুরে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশার কারণে প্রতি বছর ঝরে পড়ছে হাজার হাজার শিশু।
জানা গেছে, বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় সহস্রাধিক পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি হওয়ায় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল চিত্র ফুটে উঠেছে। এমনিভাবে প্রতি বছর নদী ভাঙন কবলিত দরিদ্র জনপদ ইসলামপুরের হাজার হাজার শিশু বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে। এলাকাবাসী এ জন্য বদলী বাণিজ্য, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট টিউশনি,শিক্ষকদের কর্মফাঁকি ও বাল্য বিবাহকে দায়ী করেছেন। ফলে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী বিধৌত অঞ্চলে নিরক্ষরতার হার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ইসলামপুরের প্রতিটি শিশুর বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ৭৯টি সরকারি, ৬৫টি রেজিস্টার্ড ও একটি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫৮ শিক্ষক ৫১ হাজার ৬২২ জন শিশুকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাচঁ হাজার ৩৫৮জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও এক হাজার ১৫৩ জন পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি সকলকে হতাশ করেছে। অথচ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই, উপবৃত্তি ও প্রায়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। তার পরও এ উপজেলায় প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে কেন ঝরে পড়ছে এর উত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এলাকাবাসী এ জন্য কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট টিউশনি, বদলী বাণিজ্য,কর্তৃপক্ষের ঘুষ-দূর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিত ও শিক্ষকদের কর্তব্যে অবহেলাকে দায়ী করলেও শিক্ষকরা বলেন পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির মূল কারণ হচ্ছে বাল্য বিবাহ। তাদের অভিযোগ বাল্য বিবাহ রোধ করতে পারলে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ার হারও কমে যাবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাইদুর রহমান/জামালপুর