আবাদি জমি ও জনবসতিপুর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে ইট ভাটা গড়ে উঠায় জামালপুরের ইসলামপুরে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ইটভাটার কালো ধোয়ায় বাতাসে ক্ষতিকর ছাই ও কার্বনমনোক্সাইড ছড়িয়ে পড়ায় জমির ফসল,ফলদ বাগান নষ্টসহ পৌর নাগরিকদের মানবদেহে হাপানী, সর্দি,কাশি ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগব্যধি বিস্তার লাভ করছে।
এছাড়াও শহরের সীমানা ঘেঁষে সদর ইউনিয়নের পাচবাড়ীয়া রাস্তার পার্শ্বে বিস্তর ফসলী জমিতে সদ্য গড়ে উঠা রফিকুল ব্রিক্স ফসলী জমির মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হওয়ার আশংকায় দিশেহারা এখন কৃষক সমাজ।
কৃষকদের অভিযোগ, তাদের কৃষি জমির পার্শ্বে ইটভাটা হওয়ায় ভাটার ধুলা, বালু ও ধোয়ায় তাদের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে।
জানা গেছে,১৯৯২ সালের জমি ভূমি মন্ত্রনালয়ের জারিকরা প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৮৯,সংশোধন আইন-২০০১ প্রভূতি প্রজ্ঞাপনে,আইন পরিপত্র ও বিধিমালা অনুযায়ী ইটভাটা অবশ্যই অনুর্ভর, অকৃষি,অস্থায়ী পতিত জমিতে স্থাপন করতে হবে। আবাদি জমির উপর ইট ভাটা নির্মাণের আইন সংজ্ঞতভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১৯৫১ সালের জমিদারি দখল ও প্রজাতন্ত্র আইনে ১০ ধারা অনুযায়ী আবাদি কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ বা স্থাপন দন্ডনীয় অপরাধ। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ইটভাটায় ১২০ফুট উচু চিমনি স্থাপন এবং ঝিকঝাগ পদ্ধতিতে ইট পোড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার ১২০ ফুট উচু চিমনি বাতিল করে সম্পুর্ণ পরিবেশ বান্ধব ঝিকঝাগ পদ্ধতিতে ইট পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
অথচ ইসলামপুরে ইট ভাটার মালিকগণ সরকারী নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করে ঘনবসতিপূর্ণ ও কৃষি জমিতে ইট ভাটা তৈরী ও ইট পোড়াচ্ছে। কৃষক ও সচেতন মহল অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাইদুর রহমান/জামালপুর