ষ্টাফ রিপোর্টার :: ইরানের রাজধানীর কাছে দেশটির শেষ শাহ বা রাজার পিতার মমি খুঁজে পাওয়া গেছে বলে তাঁর পরিবার ধারণা করছে। তেহরানের দক্ষিণে শাহর-ই রে নামক জায়গায় একদল নির্মাণ কর্মী ভবন নির্মাণের জন্য মাটিতে গর্ত করতে গিয়ে এই মমি খুঁজে পায়।

মমিটির ছবি এবং এ নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদন অনলাইনে অনেক শেয়ার হয়েছে। এসব ছবি ও প্রতিবেদন থেকে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে যে, এটি শাহ রেজা পাহলভির দেহ।

যে এলাকায় মমি পাওয়া গেছে, সেই শাহর-ই রে এলাকায়ই শাহ রেজা পাহলভির সমাধি ছিল। ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর বিপ্লবীরা সমাধিটি ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরপর তার দেহাবশেষের কোনো সন্ধান কখনো পাওয়া যায়নি।

ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শাহ রাজবংশের পতনের বেশ কয়েক দশক পর এই মমি পাওয়া গেল।

মমি নিয়ে পরিবার কি দাবি করছে?

পাহলভির নাতি রেজা পাহলভি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে রয়েছেন। মমির সন্ধান মেলার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক টুইটে বলেছেন, দেহাবশেষটি কার- তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফরেনসিক রিপোর্ট এখনো তাঁর কাছে পৌঁছায়নি। এরপরও তিনি ধারণা করছেন, মমিটি তাঁর পিতামহ বা দাদার।

টুইটারে এক বিবৃতিতে তিনি দেহাবশেষটি ইরানে যথাযথ মর্যাদায় সমাহিত করার ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

রেজা পাহলভি টুইটারে বলেছেন, ‘আধুনিক ইরানের জনক নয়, কিংবা রাজা হিসেবেও নয়। কেবলমাত্র একজন সাধারণ সেনা এবং জনগণের সেবক হিসেবে রেজা শাহর সমাধি পরিচিত কোনো জায়গায় চিহ্নিত করে রাখতে হবে।’

তেহরানের কালচারাল হেরিটেজ কমিটির চেয়ারম্যান স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, মমিটি সাবেক নেতার দেহাবশেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইরানের কিছু সংবাদ মাধ্যম সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

কে এই রেজা শাহ?

রেজা শাহ ইরানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বস্থানীয়দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তিনিই পাহলভি রাজবংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই রাজবংশ ১৯২৫ সাল থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ইরান শাসন করে গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগ উঠেছে বারবার।

রেজা শাহ দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসনে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃতদেহ প্রথমে মিসরে দাফন করা হয়েছিল। পরে তা ইরানে এনে দাফন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here