ব্রিটেনে ইরানি দূতাবাস অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন।

সেই সাথে সকল ইরানি কূটনীতিককে ব্রিটেন ছাড়ার জন্য আটচল্লিশ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দিয়েছ দেশটি।

একদিন আগে তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাংচুর চালানোর পর এমন সিদ্ধান্ত নিলো ব্রিটেন।

এ ব্যাপারে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের বক্তব্য ছিলো অত্যন্ত স্পষ্ট।

মিস্টার হেগ ব্রিটিশ এমপিদের বলেছেন, ইরানি বিক্ষোভকারীরা সু-পরিকল্পিতভাবে তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মীদের বাড়িঘরে ভাংচুর-লুটতরাজ চালিয়েছে।

তার ভাষায়, ভিয়েনা কনভেনশনের শর্ত ভঙ্গ করে ইরান কূটনীতিবিদদের রক্ষা করতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এটা ক্ষমার অযোগ্য।

বিষয়টি নিয়ে জরুরী বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

বৈঠক থেকে মিস্টার ক্যামেরনের সরকার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ইরান থেকে অবিলম্বে সকল কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনা এবং সেখানকার দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার আর কোনও বিকল্প এখন নেই।

বৈঠকে মিস্টার হেগ এমপিদের জানিয়েছেন যে, লন্ডনে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বলে দেয়া হয়েছে যে তাদের সকল কর্মী যেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটেন ত্যাগ করে। খবর : বিবিসি

এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্রিটেনকে সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন।

জার্মানিও আলোচনার জন্য তেহরান থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে নিয়েছে।

তেহরানে সাময়িকভাবে দূতাবাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে।

ব্রিটেনের সাথে ইরানের সম্পর্ক এখনো চরমে না পৌঁছালেও টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভবিষ্যতে দুদেশের মধ্যেকার যোগাযোগ অনেক কঠিন হয়ে উঠবে সেটা এখন স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here