ইরাকে বৃহস্পতিবার বোমা হামলায় ১৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছে৷ এদের মধ্যে দশ জনের মৃত্যু হয় পুলিশের বাড়িতে বোমা হামলায়৷ এদিকে, সেদেশের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আল-কায়দা তার দলত্যাগী সদস্যদের উপর হামলা চালাচ্ছে৷

 গত ডিসেম্বরে মার্কিন বাহিনী ইরাক ত্যাগ করার পর থেকে সেদেশে বোমা হামলার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে৷ একইসঙ্গে শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সুন্নি সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধও দেখা দিয়েছে৷ সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দুই সহোদর পুলিশ সদস্যে বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মুসায়িব’এ এই হামলায় দুই পুলিশ সদস্য, তাদের স্ত্রী এবং ছয় সন্তান নিহত হয়েছে৷

যেভাবে হামলা

পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তার পাশে যেসব বোমা পেতে রাখা হয়, সেরকমই কিছু বোমা পাতা হয়েছিল পুলিশের বাড়ির চারপাশের দেয়ালের পাশে৷ এগুলোর বিস্ফোরণে বাড়িটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে৷ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আহত হয়েছে চারজন৷

বলাবাহুল্য, শিয়া অধ্যুষিত শহর মুসায়েবে এর আগেও বহুবার বোমা হামলা হয়েছে৷ যেকারণে ইরাকের এই অঞ্চলকে বলা হয় ‘ট্রায়াঙ্গেল অব ডেথ’৷সুত্র : ডয়চেভেলে

কিরকুকে বোমা হামলা

ইরাকের উত্তরের শহর কিরকুকে মোটরসাইকেলে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছে তিন ব্যক্তি৷ শহরের কেন্দ্রীয় চত্বরের কাছে একটি স্কুলের সামনে এই হামলায় তিন ব্যক্তি নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছে৷ এদিকে, ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-কায়দা তার দলত্যাগী সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে৷

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক৷ শিয়া সুন্নির সংঘাত ও বিরোধও সেখানে খুবই জোরদার এখন৷

ইউনাইটেডন নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here