জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আইনি সুযোগ তৈরির জন্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে বিদায়ী নির্বাচন কমিশন। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীমুক্ত নির্বাচন ও নির্বাচনকালে ৪টি মন্ত্রণালয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে কমিশনের সঙ্গে আলোচনার বাধ্যবাধকতা রাখাসহ মোট ৩২টি ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
প্রস্তাব অনুযায়ী আইন সংশোধন হলে কমিশনের ইচ্ছা অনুযায়ী কোনো আসনে ইভিএম ও কোনো আসনে ব্যালট পেপারে ভোট নেয়া যাবে।
কমিশনের উপসচিব সুভাষ চন্দ্র জানিয়েছেন, এ প্রস্তাব সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছবে।
প্রস্তাবে সরকারকে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে যাতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করা যায়, সে লক্ষ্যে আইনি সুযোগ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২৬তম আদেশে সংশোধন আনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে কমিশন চাইলে কোনো আসনে ইভিএম কিংবা কোনো আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোট নিতে পারবে।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হওয়ার আগেই একটি দল থেকে এক আসনে একজন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দিতে হবে। এতে করে ওই দল থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়া বাকি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। এভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীমুক্ত নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৬তম আদেশটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ শেষের দিন থেকে পরের সরকার গঠন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচন সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এছাড়া প্রার্থীদের জামানত বাড়ানো, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তির বিধানসহ অন্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে শাস্তিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার