ফরহাদ খাদেম,  ইবি সংবাদদাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে সীরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় হলের টিভির কক্ষে হল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে হলের প্রভোস্ট ও আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনের সভাপতিত্ব প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ স ম তরীকুল ইসলাম ও বিশেষ আলোচক ছিলেন আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুজাহিদুর রহমান।
এছাড়া ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকবৃন্দ অনুষ্ঠানের শুরুতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। পরে রাত নয়টার দিকে ‘ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট’ এর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। রাত দশটার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
আলোচনা সভায় দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলির সঞ্চালনায় অধ্যাপক ড. আ স ম তরীকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গবেষণা ইনস্টিটিউট থাকলেও মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কোনো ধরনের গবেষণা ইনস্টিটিউট নেই। যা এই জাতির ধ্বংসের মূল কারণ বলে আমি মনে করি৷ এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে গবেষণা ইনস্টিটিউট না থাকায় আজ মুসলিম জাতি সবচেয়ে বড় সংকটে। সুতরাং মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে পরকালে নাজাত পেতে হলে অবশ্যই মুহাম্মদ (সাঃ) এ জীবনী সম্পর্কে জেনে বাস্তবিক জীবনে তার প্রতিফলনের চেষ্টা করতে হবে।
অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, হলের গণরুমগুলোই ছিল বৈষম্যের কারখানা। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমি প্রথমে হল থেকে গণরুম কালচার তুলে দিয়েছি। এছাড়া আমরা দোয়া করি, স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এই জাতির যারা জীবন দিয়েছেন তাদেরকে আল্লাহ জান্নাত নসিব করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here