ফরহাদ খাদেম, ইবি সংবাদদাতা ::
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিদায়ী সংবর্ধনা ও সমাপনী অনুষ্ঠান-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় হলের টিভি কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
হলটির ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন হল কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া।
এছাড়াও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন এবং হলের আবাসিক শিক্ষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুধাংশু কুমার বিশ্বাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার হলের মাধ্যমেই পরিচিতি পেয়ে থাকে। আপনারা নিশ্চয়ই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন জ্ঞান গৌরব অর্জনের তৃষ্ণা নিয়ে, আমরা চাই আপনারা বেরিয়ে যান তৃপ্তি করে, আমরা প্রত্যাশা করি আপনারা বিলিয়ে দেন নিজেদেরকে উজার করে। এটা যদি করতে হয় তাহলে নিজেদেরকে ভাববেন ‘তুমি নিজেকে ভাবো নগন্ন অন্যরা তোমার নাম নিয়ে যেন বলে ধন্য ধন্য’। এটাই হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মন্ত্র। বঙ্গবন্ধু যেমন মানুষের সেবার নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে, আপনারাও তেমন জাতি, দেশ ও মানবতার সেবার নিজেকে বিলিয়ে দিবেন।
তিনি আরও বলেন, এই দেশ, কৃষক সমাজ এবং এই প্রতিষ্ঠান আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আগামীকাল থেকে হবে আপনার ঋণ পরিশোধের পালা। এই ঋণ দেশের মানুষ, পিতা-মাতা, প্রতিবেশি, সমাজের এবং বিশ্ব মানবতার জন্য। সেখানেই যদি আপনি সেরা হতে পারেন তাহলে আপনি হবেন আমাদের সেরা সন্তান। এই বিশ্ববিদ্যালয় হলো মাতৃসম প্রতিষ্ঠান, এটাকে তুলে ধরার দায়িত্ব আপনারই। আপনি তখনই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরতে পারবেন যখন নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। আপনার ফুটিয়ে ওঠার মাধ্যমেই এই বিশ্ববিদ্যালয় সৌরভ ছড়াবে।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ‘মুজিব সেনার স্মৃতিকথা’ নামক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। পরে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।