ফরহাদ খাদেম, ইবি সংবাদদাতা ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে প্রতিবাদ র‌্যালি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে সমবেত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য। এসময় সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)। 
সোমবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে প্রতিবাদ র‌্যালিটি শুরু হয়।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ (শিক্ষক ইউনিট), শাপলা ফোরাম, শাখা ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন হল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বরের গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্নার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা ভেবেছে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে পারে। তাই বিরোধীদল ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে এরূপ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। তারা মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন,  বিরোধীশক্তি দেশকে গলাটিপে হত্যা করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছিল। তারা এদেশের জন্মকে মেনে নিতে পারেনি। তারা দেশকে তালেবান করতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশের জনগনের জন্য ভেবেছেন, কল্যাণের কথা ভেবেছেন, তিনি মানুষকে সম্মোহিত শক্তিতে কাছে জানতেন। তারা ভেবেছিল যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকে তাহলে তারা পাকিস্তানি শাসন কায়েম করতে পারবে না। তাই তারা পচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করতে চেয়েছিল। সেদিন তারা সফল না হতে পেরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে তার পরিবারের সকলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here