ফরহাদ খাদেম, ইবি সংবাদদাতা ::
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের উদ্যোগে এটি উদযাপিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন হতে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। এসময় বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সিনা, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, অধ্যাপক আব্দুস শাহীদ মিয়া ও অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর সহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে এসে শেষ হয়।
পরে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের ২১৩ নম্বর কক্ষে একটি অনলাইন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় গুড গভর্নেন্সের কোনও বিকল্প নেই। আর গুড গভর্নেন্স নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও আর্থিক কার্যক্রমের সঠিকতা নিরুপনে হিসাববিজ্ঞান কাজ করে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর ইতিহাসে হিসাব সংরক্ষণের প্রয়োজনে সর্বপ্রথম হিসাবের বইতে অঙ্কের মাধ্যমে লেখা (হিসাব) শুরু করেন ইতালিয়ান গণিতবিদ ও দার্শনিক লুকা প্যাসিওলি। আর এই ধারণা ১৪৯৪ সালের ১০ নভেম্বর তিনি তুলে ধরেন তার ‘সুম্মা ডি এরিথমেটিকা জিওমেট্রিয়া প্রপোরশনি এট প্রপোরশনালিটা’ গ্রন্থে। হিসাব পদ্ধতির এই নব-পরিবর্তনের ফলে পরে তিনি হিসাববিজ্ঞানের জনক হওয়ার খ্যাতি পান। এতে তিনি পাটিগণিত, জ্যামিতি এবং ভগ্নাংশের ব্যবহার করে একটি একক হিসাব পদ্ধতি ও হিসাবরক্ষণের প্রধান মূলনীতি ‘দুতরফা দাখিলা’ উদঘাটন করেন যা আজও আধুনিক বিশ্বে সমাদৃত। এই মূলনীতি থেকেই পরে জাবেদা, খতিয়ান, আর্থিক বিবরণী ও উদ্বৃত্তপত্র তৈরির ধারণা পাওয়া যায়।
ফলে ১০ নভেম্বর সারাবিশ্বে হিসাব পেশাজীবীরা এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি উদযাপন করে থাকেন। তাছাড়া বর্তমানে হিসাবরক্ষকেরা দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণ, বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ এবং তার যথাযথ ব্যবহার, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা তথা সুশাসন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here