
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেন সরকার এবং দেশের পূর্বাঞ্চেলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের মধ্যে পাঁচ মাস ধরে লড়াই এর পর আজ অবশেষে এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে এক আপোষ আলোচনায় দু’পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে একটি চুক্তি সই হওয়ার পর বিকেলে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়।
মিনস্কে এই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ বা ওএসসিই ।
সাবেক এক ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্ট, বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী নেতারা এবং রুশ প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় যোগ দেন।
দীর্ঘ দরকষাকষির পর শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ লড়াই থামাতে রাজী হয়, যা আজ বিকেলেই কার্যকর করা হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরেশেংকো জানিয়েছেন, ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে, যাতে জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার কথাও রয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকেও অবহিত করা হয়েছে।
তবে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনুক বলেছেন, যুদ্ধবিরতি সার্থক হতে হলে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে গ্যারান্টি দিতে হবে।
মিনসক্-এ আলোচনা চলাকালে পূর্ব ইউক্রেনের কয়েকটি জায়গায় লড়াই অব্যাহত ছিল।
আঝোভ সাগরে বন্দরনগরী মারিওপোল-এর কাছে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রাশিয়ার ‘আক্রমন’
ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করছে, রাশিয়া শুধু বিদ্রোহীদের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তাই নয়, রুশ সামরিক বাহিনী সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।
রাশিয়া এই অনুপ্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ রাশিয়ার লড়াইকে এক সতর্ক সংকেত হিসেবে বর্ণনা করে নেটোর মহাসচিব অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেছেন, ভবিষ্যত হুমকি মোকাবেলায় নেটো জোট একটি বহুজাতিক বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা মাত্র ৪৮ ঘন্টার নোটিশেই মোতায়েন করা যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।