আওয়ামী লীগ দেশের স্থিতিশীল অবস্থাকে নষ্ট করে রাজনীতিতে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে ইতিমধ্যে বিতর্কিত করে ফেলেছে এবং বিতর্কিত করতে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আরাফাত রহমান কোকো’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ যে অবৈধ সরকার যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক এবং বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের আর্দশের প্রতীক জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করবার যে নীলনকশা ছিল সেই নীল নকশার অংশ হিসাবে আরাফাত রহমান কোকো’কে গ্রেফতার করে নির্যাতন করেছিল।

যারই ধারাবাহিকতায় সেই উদ্দেশ্যকে নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয়তাবাদী দল ও রাজনীতি এবং এই রাজনীতির পতাকা বহন করে স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক নিয়ে চলেছেন সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে তারা একদিকে রাজনীতি থেকে অন্যদিকে শারীরিকভাবে নিমূর্ল করার চেষ্টা করেছেন।

এটা বিছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটা এদেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য আজকে যারা ষড়যন্ত্র করছেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার জন্য সুপরিকল্পীতভাবে কাজ করছেন সেই নীলনকশার এই একটি অংশ।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে রাজনীতির কথা বলা ঠিক নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যে পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে কিন্তু এখন শুধু রাজনীতির কথা নয়, আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে আজকে অত্যন্ত সক্ষম ও সবল হয়ে দাড়াতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আরাফাত রহমান কোকো’র মৃত্যু ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে সকলের কাছে অম্লান হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যু আমাদের শোকাহত করেছে কিন্তু এই শোককে ধারণ করে নিশ্চিুপ হয়ে থাকলে চলবে না, বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে অপশক্তি ও বিধ্বংসী শক্তিকে অপসারণ ও পরাজিত করতে হবে।

এসময় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here