এক দফা মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ক’জন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তনেরও তোড়জোড় চলছে সরকারে। পরিবর্তনের এ তালিকায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকারের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে দলীয় ও সরকারি সূত্র।
সূত্রমতে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আবার পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকারকে সরিয়ে তার স্থলেও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীকে দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমনকি পরিবর্তন হতে পারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির দপ্তরও। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সাবেক দুই রাষ্ট্রদূতের নাম শোনা যাচ্ছে।
এরা হলেন-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত আবুল হাসান মুহাম্মদ আলী ও যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ।
এদের একজনকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
এছাড়া পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের জায়গায় অন্য কাউকে আনা হতে পারে বলেও জানা গেছে। এ দায়িত্বে সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী এবিএম গোলাম মোস্তফার নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি এরশাদ সরকারের পানি সম্পদমন্ত্রী ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোদ দেন।
কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বর্তমানে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
এদিকে দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর গত ২৮ নভেম্বর মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভা তৃতীয় দফায় সম্প্রসারণ করা হয়। এর পর গত ৫ ডিসেম্বর তিন জন মন্ত্রির দপ্তর পরিবর্তন করা হয়।
এর আগে সরকারের প্রথম বছরের (২০০৯) ৩১ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ড. হাছান মাহমুদকে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই সময়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারকে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিনই সোহেল তাজের স্থলে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার