নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা বিএনপি তথা নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মাঠে নতুন করে আবির্ভাব ঘটেছে ২৫ বছর ধরে আত্নকেন্দ্রিক থাকা লায়ন শেখ মহিউদ্দিনের। জনদরদী ও জনমানুষের বন্ধু এ উদার নেতার আগমনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা তথা নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি রাজনীতের ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হুমকীর মুখে পড়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্ব। বর্তমানে বিএনপির বিশাল একটি অংশ ঝুঁকে পড়েছে লায়ন শেখ মহিউদ্দিনের পড়্গে। অনেকে উঠে পড়ে লেগেছে আগামী সংসদ নির্বাচনে লায়ন শেখ মহিউদ্দিনকে দলীয়ভাবে প্রার্থী করানোর জন্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপির সংকট মুহুর্তে দেশে না থাকা, তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না রাখা, বিপদে আপদে কর্মীদের পাশে না থাকা, গুটি কয়েক নেতাকে দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করাসহ নানা অভিযোগে বর্তমানে উপজেলা বিএনপির বড় একটি অংশ এখন আর ব্যরিষ্টার মওদুদকে পছন্দ করছেনা। এছাড়া অনেকে মনত্মব্য করছেন, মওদুদ সাহেবের কাছে দল কোন বিষয় নয়। তাঁর কাছে ড়্গমতাই মূল বিষয়। তাছাড়া দলীয় নেতাকর্মীর বাইরে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কিত লোকেরাই বেশী প্রাধান্য পায়। অভিযোগ রয়েছে বার বার রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করার কারনে অনেকে দ্বিধান্বিত যে, তিনি আসলেই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকবেন কিনা? কারন হিসেবে তারা বলছেন, তিনি যদি বিএনপির রাজনীতিকে মনে প্রাণে ভালবাসতেন তাহলে জিয়াউর রহমানকে খাটো করে কথা বলতেন না। এদিকে উপজেলার প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নে তার ভুলের কারনে দুই দুইটি করে কমিটি করা হয়েছে। এ নিয়ে নেতা কর্মিরা তার কাছে গেলে তিনি তার মনোনিত লোকদের কথা মত তাদের গড়া কমিটিকে স্বিকৃতি দেন।আর সেসব কমিটি নাকি টাকা নিয়ে গঠন করা কমিটি বলে দাবী করছেন তৃনমূল নেতা কর্মিরা।উপজেলা বিএনপির অনেক ত্যাগী নেতা কর্মিকে তিনি বিশ্বাস করেননা তাদের কে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখেন। উপজেলা বিএনপির অনেকে সন্দেহ করছেন, তিনি ভবিষ্যতে আবারও দল পরিবর্তন করতে পারেন। এজন্য তারা এখনই সিদ্ধানত্ম নিচ্ছেন, যে লোক মনে প্রানে বিএনপিকে ভালবাসবেন এবং বিএনপিতেই থাকবেন তাকেই দলের হাল ধরিয়ে দেয়ার। সেড়্গেত্রে লায়ন শেখ মহিউদ্দিনই উপযুক্ত ব্যক্তি বলে উপজেলা বিএনপির বড় একটি অংশ মনে করছে।
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এ নেতা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ১৯৯১সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ উপকূলীয় উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৯৯৭সালে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি তেজারত গ্রম্নপের বর্তমান চেয়ারম্যান ও দি লায়ন বাংলাদেশ এডিশনের এডিটর হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনীতিতে তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি জানান, মওদুদ আহমেদ আমার নেতা, আমি তাঁকে সম্মান করি। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার সাথে আমার সু-সম্পর্ক রয়েছে। যদি তাঁরা আমাকে দিয়ে নোয়াখালী-৫ আসনের রাজনীতি পরিচালনা করা সম্ভব বলে মনে করেন, তাহলে আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও বিএনপির রাজনীতিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করে গণমানুষের হয়ে কাজ করব।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/হাসান ইমাম রাসেল/নোয়াখালী