ডেস্ক রিপোর্ট:: বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের ঘটনায় উত্তাল সারাদেশ। এরই মধ্যে চলমান এই ইস্যুতে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে যায় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের নাম। এতে সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই শিল্পী। যাচাই না করেই জনপ্রিয় এ গায়ককে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করছেন তারা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তাহসান।
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে তাহসান জানান, তার বিসিএস দেওয়ার বিষয়টি পুরোটাই ভুয়া। তাহসানের কথায়, ‘আমি কখনোই বিসিএস দেইনি। ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়া তো প্রশ্নই আসে না।’
এর আগে বিষয়টি নিয়ে তাহসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ। এমন ঘটনায় পরোক্ষভাবে তাহসানের নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তিন কর্মকর্তা ও সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মূল আলোচনায় গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী। সেই আবেদ আলীর সূত্র ধরেই সামাজিক মাধ্যমে পরোক্ষভাবে নাম চলে আসে তাহসানের।
সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে, বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী তাহসানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তার গাড়িচালক ছিলেন। সে সময়েও প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে জড়িত ছিলেন আবেদ। ফলে তাহসানের মায়ের নামও উঠে আসে। আর সে থেকেই গুঞ্জন, মা জিনাতুন নেসার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২৪ তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান। সেই পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেই পরীক্ষা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়। এতে ভাইভাতে বাদ পড়েন তাহসান।
মায়ের নাম জড়ানো প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, ‘এই ড্রাইভার (আবেদ আলী) অফিসের অন্যান্য ড্রাইভারদের মতোই একজন। তিনি আমার মায়ের ড্রাইভার নন।’
এদিকে ফ্যাক্ট চেক বলছে, সামাজিক মাধ্যমে রিউমার স্ক্যানার গ্রুপে উঠে আসে- ২৪তম বিসিএসে ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মূলত ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৪তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৩ মার্চ পরীক্ষাটি বাতিল করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। পরবর্তী সময়ে পুনরায় ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়। অর্থাৎ, যে বিসিএসে তাহসান পররাষ্ট্র ক্যাডার হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর-ই বাতিল হয়, তাই সেই বিসিএসে তাহসানের পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।