ফয়সাল হাবিব সানি, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: কম্পিউটার চুরি যেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার (একুশে লাইব্রেরি ভবন) থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনার জট খুলতে না খুলতেই আবারও চুরি হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আরও দুইটি কম্পিউটার।

অপরদিকে, ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত চুরির প্রধান হোতা এখনও রয়ে গেছেন লোকচক্ষুর আড়ালে এবং চুরি হয়ে যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে বাকি ১৫টি কম্পিউটারের হদিস কিংবা কোনো সন্ধান মেলেনি এখনও।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুইটি কম্পিউটার চুরি হবার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি তসলিম আহম্মদ ইউনাইটেডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে জানান, চুরির ঘটনাটি কবে এবং কীভাবে ঘটেছে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রেজাল্ট সংক্রান্ত কাজে ওই বিভাগ খুললে ছাউনি ভাঙাসহ দুইটি কম্পিউটার চুরির বিষয়টি প্রত্যক্ষ করি এবং তখনই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভাগটির শিক্ষা কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে টিনশেডের ছাউনির নিচে পরিচালিত হয়ে আসছে। আর বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় ঝোঁপঝাড় থাকার কারণে সাপের উপদ্রব এবং নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা ইতোপূর্বে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পরবর্তীতে নিরাপত্তা সমস্যাজনিত বিষয় নিয়ে গত ০৩ মার্চ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদনপত্রও প্রদান করি। কিন্তু তারপরও এর কোনো আশু সমাধান পাইনি আমরা।
প্রসঙ্গত, গেল ইদুল আজহার ছুটিকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। পরে গত ১৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) গোপালগঞ্জ এবং ঢাকার বনানী থানা পুলিশের যৌথ তৎপরতায় `হোটেল ক্রিস্টাল ইন’ থেকে ৪৯টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। আর এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীসহ মোট সাতজনকে আটক করে পুলিশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তদন্ত কমিটি গত ০৬ সেপ্টেম্বর (রোববার) তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও কোনো সুরাহা মেলেনি চুরির প্রকৃত রহস্যের সঙ্গে সম্পৃক্তকারীর। এর পূর্বেও এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে ৪৭টি এবং ২০১৭ সালে ৫০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here