কক্সবাজার: রং তুলির শেষ আঁচড়ের পরপরই প্রাথমিক নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘটবে সাগর পাড়ের স্বপ্নের কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। আর এটি রোববার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাজের শুরু থেকে পর্যটন কর্পোরেশনসহ কয়েকটি বিশেষ মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিলো।

কিন্তু অবশেষে সব ষড়যন্ত্রের বাঁধ ভেঙ্গে কক্সবাজারবাসীর লালিত স্বপ্নের আলো’র বিষ্ফোরন ঘটতে চলেছে এটা ভাবতেই এখন খুশিতে আত্মহারা স্থানীয় ক্রীড়া প্রেমিক মানুষগুলো। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরকে কেন্দ্র করে সর্বত্র যেমন চলছে উৎসবের আমেজ ঠিক তেমনিভাবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় প্রশাসন নিচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

এখন আর মাস কিংবা বছর নয়, আর মাত্র ক’টা দিন বাদেই স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে কক্সবাজারবাসীর। প্রত্যাশিত সেই দিনড়্গণের গণনা আজ থেকেই শুরু। নানা উদ্বেগ উৎকন্ঠার পর এবার সত্যিই পূরণ হতে চলেছে সাগর পাড়ের ক্রীড়ামোদি মানুষগুলোর স্বপ্ন। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়েরো রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রম্নম, গ্যালারী, ভিআইপি ও মিডিয়া বক্সে পুরোদমে চলছে রং তুলির শেষ আঁচড়ের পালা। এর পরপরই নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘটবে। সেই সাথে ঘটাবে এই হচ্ছে আবার এই হচ্ছেনা এমন সব বিতর্কের অবসান।

জানা যায়, কাজের শুরম্ন থেকে পর্যটন কর্পোরেশন ও তথাকথিত পরিবেশবাদি সংগঠনসহ কয়েকটি বিশেষ মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। কিন্তু অবশেষে সব ষড়যন্ত্রের বাঁধ ভেঙ্গে কক্সবাজারবাসীর লালিত স্বপ্নের আলো’র বিষ্ফোরন ঘটতে চলেছে এটা ভাবতেই এখন খুশিতে আত্মহারা স্থানীয় ক্রীড়া প্রেমিক মানুষগুলো।

প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরকে কেন্দ্র করে সর্বত্র যেমন চলছে উৎসবের আমেজ ঠিক তেমনিভাবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে নচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে সোমবার বেলা ১২ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রীয় ফ্যাক্স বার্তা পৌঁছেছে। যার ধারাবাহিকতায় ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেলে আওয়ামীলীগের দলীয় সংসদ সদস্য আশেক উলস্নাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মোঃ রম্নহুল আমিন ও পুলিশ সুপার মোঃ আজাদ মিয়ার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম স্টেডিয়াম ও পাশ্ববর্তী সম্ভাব্য জনসভার স্থান পরিদর্শন করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট একে আহমদ হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন, জাফর আলম, কক্সবাজার পৌর মেয়র সরওয়ার কামালসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ। সূত্রে প্রকাশ, পর্যটন শিল্পের বিকাশে কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সমুদ্র সৈকত তীরবর্তী পর্যটন গল্‌ফ মাঠে এই স্টেডিয়াম নির্মানকালে প্রথমেই ক্ষুদ পর্যটন কর্পোরেশনের বাঁধার মুখে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু একে একে সব বাঁধা পেরিয়ে সমুদ্রের বালিয়াড়ি আর ঝাউবিথীর বুক ছিড়ে গড়ে তোলা হয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত শেখ কামাল আনত্মর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কোটি কোটি টাকা খরচ করে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা বাকি যখন, গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলো পর্যটন কর্পোরেশন। তারা নাকি কক্সবাজারে তারকা মানের হোটেলের ভিড়ে ওই জায়গায় আরও একটি ফাইভ স্টার হোটেল বানাতে চায়। এ খবরে হতাশ কক্সবাজারবাসীর জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাতে ছোট ভাইয়ের নামে করা স্টেডিয়ামটি নিজেই উদ্বোধন করতে আসছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। আর সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে কক্সবাজারে টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যু দেয়ার ঘোষনা দিবেন এমন আশার বুক বেধে ২৩ ফেব্রম্নয়ারী অপেক্ষায় উদগ্রীব এখন কক্সবাজারবাসী। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন জানান, প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়াম উদ্বোধন ছাড়া বিদ্যুৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মহেশখালীর বেড়িবাঁধসহ আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে তাঁর এই সফরে।

এদিকে পুলিশ সুপার মোঃ আজাদ মিয়া জানান, সরকার প্রধানের কক্সবাজার সফরকে কেন্দ্র করে ৫ সত্মরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে ব্যাপকভাবে চলছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চুড়ান্ত প্রস্তুতি।

প্রসঙ্গত: এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এই স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কালাম আজাদ/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here