আনোয়ার হোসেন, খাগড়াছড়ি থেকে ::
আদিবাসী স্বীকৃতি দাবির অন্তরালে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও এর অঙ্গ সংগঠন পিসিসিপি,পিসিএমপি।
৯ আগস্ট খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিএনপি’র চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিএনপি’র মহাসচিব মোঃ আলমগীর কবির, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মজিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডালিম, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নিজাম উদ্দিন, সদস্য সচিব এস এম মাসুম রানা, আহবায়ক কমিটির সদস্য মোকতাদের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদ উল্লাহ, জেলা সভাপতি সুমন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমা আহমেদ মৌ, জেলা সভাপতি হাসিনা আকতার, সাধারণ সম্পাদক জোহরা আক্তার,সাংগঠনিক সম্পাদক কুলসুম আকতার। এছাড়াও কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো আলাদা একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো। পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড বানাতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে দেশী-বিদেশী কুচক্রী মহল।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই এখানে রয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতি । বাংলাদেশের সংবিধানে কোন আদিবাসী নেই।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শেখ শামছুর রহমান স্বাক্ষরিত স্মারক
নং-১৫.০০.০০০০.০২৪.১৮.১৪.৫৯৬ মূলে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও অনেকে তা লঙ্ঘন করে চলেছেন। দুঃখজনক যে, প্রজ্ঞাপন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছে, বাংলাদেশর তথাকথিত আদিবাসী ফোরাম এবং তথাকথিত গণমাধ্যম! তারা হরহামেশাই আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে রাষ্ট্রের সঙ্গে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে আসছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসন ও সরকারের নিকট দাবি জানাই সংবিধান পরিপন্থী আদিবাসী শব্দ ব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
তিনি সকল জাতি গোষ্ঠীর মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের নিকট আহবান জানান এবং যৌথ অভিযানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।