আসাদুজ্জামান সাজু।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শ্যালো মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন নিত্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের কাজ করে আসছেন এক শ্রেণীর অতি মুনাফালোভী স্বার্থান্বেষী মহল।

শ্যালো মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে বসতভিটাসহ আবাদি জমি। প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকায় হরমেশাই এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সচেতন মহল দাবি করেন। তারা দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে বিচারের দাবি তুলেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের আয়নারপুল নামক স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, শ্যালো মেশিনের সাহায্যে গত ৫ দিন যাবত বালু উত্তোলন করে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এতে করে লাভবান হচ্ছেন জমির মালিক ও রাস্তার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। আর বিপদে পড়তে হচ্ছে জমির পাশের বাড়ির মালিকদের। গভীর থেকে বালু উত্তোলন করায় পুকুরের চারপাশে ভেঙ্গে পড়ছে আবাদি জমি।

এ সময় পুকুর মালিক জয়নাল মিয়া জানান, তামাকের ক্ষেত থেকে বালু উত্তোলনের জন্য তাকে মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়েছেন ঠিকাদারের লোকজন। আর ৫ দিন যাবৎ সেখান থেকে বালু তুললেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা দেয়া হয়নি তাকে। শ্যালো মেশিনের সাহায্যে বালু তোলা নিষেধ এমন কথা জানাতেই জয়নালের ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

এদিকে মেশিন দিয়ে বালু তোলার বিষয়টি জানান পর আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দেন মহিষখোচা ইউনিয়ন ভুমি তহশিলদার তোকদার আলীকে। তিনি ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত কারণে মেশিন জব্দ না করে বালু উত্তোলন বন্ধের কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তহশিলদার চলে আসার পর আবারও সেখান থেকে বালু উত্তোলন চলতে থাকে।

মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, শ্যালো মেশিন দিয়ে কোনো অবস্থায় বালু তুলতে পারে না। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মেশিনের মাধ্যমে কোনো জায়গা থেকে বালু তুলতে পারবে না। তিনি মহিষখোঁচা ইউনিয়ন তহশিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here