১৯৮৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্রকামী আন্দোলনে আত্মহুতি দেন যুবলীগকর্মী নূর হোসেন। এ দিনে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন নূর হোসেনসহ অনেক গণতন্ত্রকামী মানুষ।
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, বুকে-পিঠে লিখে জীবন্ত পোস্টার হয়ে যিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন গণমানুষের মিছিলে, স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটে যিনি নিহত হন। সেই নূর হোসেন দিবস আজ।

তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকারের বাহিনী রাজপথে হত্যা-নির্যাতন করেছিল। নূর হোসেনসহ অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং এ অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে।

পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক সরকারের আমল থেকে ১০ নভেম্বরকে শহীদ নূর হোসেন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। নূর হোসেনের নামকরণে জিরোপয়েন্টের নাম হয়েছে নূর হোসেন চত্ত্বর।

দিবসটি উপলক্ষে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৮৬ সালের এই দিনে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে কারণে জাতীয় পার্টি এ দিনটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে।

সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নূর হোসেন হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিক কারসাজি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের ওপর এর দায়ভার চাপিয়েছিলেন।

এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নূর হোসেন সংসদ দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে।

দিবসটির অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, মিরপুরে নূর হোসেনের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here