আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটি জেলার লংগদুর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যাকান্ডের জেরে লংগদু উপজেলায় গত ২ জুন কয়েকটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই মামলায় ৭জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মমিনুল ইসলাম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি আরো জানান, পাহাড়ী গ্রামে অগ্নিসংযোগ,লুটপাট ও এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অন্তত ৩ শতাধিক অজ্ঞাত আসামী করে শুক্রবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সাইফুল ইসলাম, শাহ আলম, শহীদ, আবুল কালাম, শরিফুল ইসলাম, শরিফ ও মো. মোস্তফা নামে ৭জনকে গ্রেপ্ততার করা হয়েছে।
অপরদিকে, শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান ও পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা করে। সভায় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে সহযোগীতা আশ্বাস দেন প্রশাসন।
লংগদুর স্থানীয় এক সাংবাদিক শনিবার দুপুরে জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লোকজন ফিরতে শুরু করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল রয়েছে।
প্রসঙ্গত: ১ জুন খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ৪ মাইল এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া লংগদু উপজেলার যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে ২ জুন লংগদুতে মিছিল করে স্থানীয় যুবলীগ ও সাধারণ জনগণ। মিছিল থেকে হত্যাকান্ডের জন্য পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের দায়ী করে লংগদু উপজেলার তিনটিলা, মানিকজোর ছড়া ও বাইট্যাপাড়ার পাহাড়ী অধ্যুষিত এলাকায় অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এতে ৩ শতাধিক বাড়িঘর, দোকান ও পিসিজেএসএস’র কার্যালয়ও ভস্মীভূত হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে সত্তরোর্ধ্ব গুণমালা চাকমা নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয় ওইসময়।