pmসোহানুর রহমান, ওয়েস্টমিনিস্টার, লন্ডন থেকে :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিপুল জনশক্তি, সবচেয়ে বড় বাজার এবং প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই এশিয়ার আয়ত্তে ছিল বিগত দিনের বিশ্ব এবং আগামী বিশ্বও তাকিয়ে আছে এশিয়ার দিকে।গর্বের বিষয় হচ্ছে, এশিয়ার মানুষ সহিষ্ণু, কঠোর পরিশ্রমী, সামর্থবান, প্রতিভাবান ও আশাবাদী।

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে এখানে গিল্ড হলে ‘এশিয়ান লিডারস রাউন্ড টেবিল : ক্যান এশিয়ান কিপ গ্রোয়িং’ শীর্ষক কমনওয়েলথ বাণিজ্য ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণকালে এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ৭০ বছরে এশিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। অনেক অর্থনীতিবিদ ও বিজ্ঞজন এশিয়ার এই সাফল্যকে বিম্ময়কর হিসেবে অভিহিত করেছেন। সত্যিকার এশিয়ার চেতনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, বিশ্ব এখন দ্রুত বদলাচ্ছে। ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে নিকটতর করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সীমান্তের মধ্যকার সমৃদ্ধি ও সমতা প্রবৃদ্ধি বয়ে আনবে এবং সম্মিলিত বিকাশের মাধ্যমে আমরা শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে তুলতে পারি’।

সোহানুর রহমান
কমনওয়েলথ সম্মেলন থেকে ইউনাইটেড নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম-এর এনজিও বিষয়ক সম্পাদক সোহানুর রহমান

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হুগো সুইরি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন এবং এর সঞ্চালক ছিলেন স্টান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সিইও জেরিন দারুওয়ালা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমৃদ্ধির পাশাপাশি বৈষম্যও সৃষ্টি করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার হুমকি হিসেবে সন্ত্রাসবাদ, সংঘাত, আর্থিক অভিঘাত ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সঙ্গে এ অঞ্চলের অগ্রযাত্রার পথে আরো অনেক বাধা-বিপত্তি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা এশিয়ার প্রতিভা বিকাশে তরুণ, নারী ও সর্বোপরি নাগরিকদের ওপর আরো বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি চালিত আগামীদিনের এশিয়ার জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here