মোঃ আজিজুর রহমান ভূঁঞা বাবুল, মযমনসিংহ ব্যুরো ::
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের উন্নয়নে কাজ করে। আওয়ামী লীগ মানুষকে উপহার দেয় উন্নয়ন। আমরা আজ শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আমরা নতুন নতুন স্কুল করেছি। ২৬ হাজার নতুন প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছি। আজকে আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৭৫.২ শতাংশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ মানুষকে ঘর দিয়েছে, মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। আর বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার মানেই হচ্ছে মানুষের ওপর অত্যাচার, মানুষকে শোষণ করা, বঞ্চনা করা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা মানে দুর্নীতি।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা ও জনসমুদ্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের একটি মানুষও যেন ভূমিহীন না থাকে সে জন্য কাজ করছি। আমাদের এটাই লক্ষ্য ছিল। আর আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। গৃহহীন বা ভূমিহীন মানুষ এখন একটা ঠিকানা পাচ্ছে- এর থেকে বড় কাজ আর কিছু হতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি, তখনও ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রেখে গেছি। ২০০১ সালে আসলো লুটেরা একদল, সন্ত্রাসীর দল বিএনপি। তারা আবার বাংলাদেশকে খাদ্যে ঘাটতির দেশে পরিণত করে। ২০০৯ সালে আবার যখন সরকার গঠন করি,তখন দেখি আবার সেই ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। আল্লাহর রহমতে দেশে এখন আর খাদ্য ঘাটতি নেই। ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য এখন মজুত আছে।
এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন।পরে প্রধানমন্ত্রীকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম,মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা দেওয়া হয়। পরে জাতীয় সংগীত ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
বিকেল ৩টার দিকে জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে ফিতা কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন, মির্জা আজম, সদস্য মারুফা আখতার পপি, সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তসহ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এদিন দুপুর ১২টার দিকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠ। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জনসভাস্থল। সকাল থেকে সড়কজুড়ে নাচ-গান আর বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে জনসভায় যোগ দেন নেতাকর্মীরা।