জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে কাজ করছে সরকার। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারা দেশের নেয় জনস্বার্থে লক্ষ্মীপুরেও জরুরী সেবা ছাড়া সকল দোকান পাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে জেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকসা। এ ছাড়া জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই সংকটময় সময়ে সবছেয়ে কষ্টে পড়ে যাবে নিতান্ত দরিদ্র জন গোষ্টির মানুষগুলো। বিশেষ করে যারা ভ্যানে করে ফলমূল ও সবজি বিক্রি করতেন। অন্যের দোকানে মাল টেনে দিনাতিপাত করতেন। অথবা ফুটপাতের এক কিনারায় বসে সারাদিন জুতা সেলাই করে বাড়ি ফেরার সময় পরিবারের জন্য চাল-ডাল ক্রয় করে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু এখন তো তারা বাহিরে বের হয়ে এসব কাজ করতে পারবেন না, নিয়ম মেনে ঘরে থাকতে হবে। তাই তো এ বস খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান নিজ উদ্যোগে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যদ্রব্য।

বুধবার সকালে রামগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে অবস্থান করা অসহায় এ সব মানুষের হাতে তিনি চাল, ডাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, সাবান, মুড়ির একটি ব্যাগ ও সাথে একটি মাস্ক তুলে দেন।

স্থানীয়রা জানান, করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে দেশের মানুষের মাঝে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস যেন না বিস্তার করতে পারে সে জন্য সরকারি-বেসরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ, জরুরী সেবা ছাড়া সকল দোকান পাট ও গণপরিবহন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। তাই সকলকে নিয়ম মেনে ঘরে থাকতে হবে।

এ সময়ে আমাদের সমাজের খেটে খাওয়া মানুষগুলো কষ্টে তাদের দিন যাপন করতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, সারাদেশের মতো রামগঞ্জেও এক সংকটময় মূহুর্তে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। জনস্বার্থে জরুরী সেবা ছাড়া বাকিসব ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেনা মোতায়েনও শুরু হচ্ছে। এ সময় সবচেয়ে কষ্টে পড়ে যাবে নিতান্ত দরিদ্র গোছের মানুষগুলো। যারা ভ্যানে ফল ও সবজি কিংবা অন্য দোকানের মাল টেনে দিনাতিপাত করে। অথবা ফুটপাতের এক কিনারায় বসে সারাদিন জুতা সেলাই করে বাড়ি ফেরার সময় পরিবারের জন্য দিনের খাদ্য ক্রয় করে বাড়ি ফেরে যায়। অনেক কিছুই করার ইচ্ছে থাকলেও করতে পারিনা সবকিছু। সীমাবন্ধতা অনেক। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জন্য এটি আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস।

তিনি আরো বলেন, সামান্য চাল, ডাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, সাবান, মুড়ি সাথে একটি মাস্ক আজ কিছু মানুষের হাতে তুলে দিলাম। প্রচারের জন্য না, সমাজের অবস্থাসম্পন্ন অথবা মন ও ধনে ধনী কোনো লোক যদি এগিয়ে আসেন তাদের সাহায্যের জন্য তাতেই আমার সার্থকতা ও সন্তুষ্টি। আসুন- আমরা মানবিক হই, পাশের দরিদ্র মানুষটির জন্য বাড়িয়ে দেই সাহায্যের হাত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here